দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়। সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার আগে দীর্ঘ ক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।সেখানে অসংলগ্ন বক্তব্য রাখায় ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ব্যবসায়ী তৃণমূল কংগ্রেস ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। বেঙ্গালুরুতে যখন বিজেপি বিরোধীদের বৈঠক চলছে তখন কৌস্তুভের ইডির হাতে গ্রেফতার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একটি সংবাদমাধ্যমের মালিক বলেও তাঁকে অনেকে চেনেন।এদিকে বেশ কয়েক বছর ধরে কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অফিস ও বাড়িতে সম্প্রতি হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর।
তখন কৌস্তুভের কাছ থেকে কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার সেই নথির ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার বলে সূত্রের খবর। তবে ইডি সূত্রে খবর, কৌস্তুভ রায়কে সোমবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি পাল্টা চিঠি দিয়ে ইডিকে জানান, এদিন সকালে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বিকেলে তাঁর দেখা করার সময় হবে। তখন ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ইডি তাঁকে বিকেল ৪টেয় হাজিরা দিতে বলেছিল। ইডির এই কথা জানার পর সেখানে বিকেলে পৌঁছন কৌস্তভ। চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। তথ্যে অসংলগ্নতা পেয়ে রাত ১টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।অন্যদিকে ইডি গ্রেফতার করার পাশাপাশি কৌস্তভ রায়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন অফিসাররা। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ তথ্য–নথি তাঁর কাছে ছিল না। এত টাকা কোথা থেকে আসছে? তা জানতে চান তদন্তকারীরা। যার যুৎসই জবাব দিতে পারেননি এই ব্যবসায়ী। আগেও আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবারও একই অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি তৈরি করার অভিযোগ। বিদেশ সফর নিয়েও বেশ কিছু তথ্য গোপন করেছেন তিনি বলে অভিযোগ।ব্যবসায়ী কৌস্তুভ দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। যদিও তিনি তৃণমূলের আনুষ্ঠানিক সদস্য নন বলেই খবর। তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘কৌস্তুভ আমাদের হিতৈষী বলা ভাল। সম্ভবত ওঁর গ্রেফতারির নেপথ্যেও সেই রাজনৈতিক কারণই রয়েছে। যখন বেঙ্গালুরুতে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধীদের বৈঠক হচ্ছে, সেই সময়ই কৌস্তুভকে ইডির গ্রেফতার করা সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।’’ এখন দেখার, কৌস্তুভের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয় কি না।