দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার বড় পদক্ষেপ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবার একসঙ্গে তিনটি দফতরকে চিঠি পাঠাল । মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই ।গ্রুপ–ডি, গ্রুপ–সি কর্মী থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগে উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই কমিটির গঠন–প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। সেই চিঠির জবাব এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তাতে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার নয়। কারণ মোট তিনটি দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। জবাব এসেছে একটি থেকে।এদিকে আরও দুটি দফতরের থেকে জবাব মেলা দরকার বলে মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা। এখানে তিনটি দফতর হল—বোর্ডের সেক্রেটারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। এই তিন দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রুপ–সি এবং গ্রুপ–ডি পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ হয় ২০১৭ সালে।
কিন্তু পরীক্ষার পর ২০১৮ সালে গঠন হয় উপদেষ্টা কমিটি। আর সেই উপদেষ্টা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় এদের নিয়োগ। এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। তাতে তাদের সন্দেহ হওয়ায় শুরু হয়েছে তদন্ত।অন্যদিকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তাতে তল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এসবের তদন্ত করছে সিবিআই। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয় ২০১৮ সালে। পরে তাঁদের সুপারিশেই নিয়োগ হয়। এই গোটা ব্যাপারে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তাই দু’বছর পর উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কারা নিলেন, কার নির্দেশে নিলেন, কাদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হল—সবটাই স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চেয়েছে সিবিআই। তার একটা জবাবি চিঠিও এসেছে। তবে বাকি দুটি চিঠি না আসায় গোটা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।এখন স্কুলশিক্ষা দফতর যে চিঠি এবং নথি পাঠিয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর একে একে কর্তাদের তলব করা হবে। তিনদিন আগেই হাজিরা দিয়ে এসেছিলেন স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রাক্তন প্রধান সচিব। সেখান থেকেও নানা তথ্য মিলেছে। জেলাভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম রয়েছে বলে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী এখন তলব করা হচ্ছে।