দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েক জন পড়ুয়ার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ। সোমবার ১০ পড়ুয়াকে যাদবপুর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রথম বর্ষের কয়েক জন পড়ুয়া এবং হস্টেলের আবাসিক। অন্যদিকে, বাংলা বিভাগের এক পড়ুয়াকে ডেকে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান কমিটি।এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে ইউজিসি প্রতিনিধিদল। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে সেটাও দেখবেন তাঁরা। এখন আবার নিহত ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর পর উদ্ধার হয়েছে ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠি। তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, জোর করে মৃত ছাত্রকে দিয়েই আগেই লেখানো হয়েছিল ওই চিঠি। এই চিঠি লেখানোর সময় গ্রেফতার হওয়া তিনজন সেখানে উপস্থিত ছিল বলে খবর। এমনই তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাই তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গত বুধবার রাতে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে সৌরভরা বলে, তুমি যে সমকামী নও তা প্রমাণ করো। এই ধরণের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওই ছাত্র। তখন তাঁকে শরীরের সমস্ত পোশাক খুলতে বাধ্য করে সৌরভ ও তাঁর সহযোগীরা। এর পর ওই ছাত্রের পোশাক কেড়ে নেয় তারা। ঘরের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় অসহায়ভাবে নিজের পোশাক ফেরত চাইতে থাকেন তিনি। পোশাক ফেরত তো দূরের কথা উলটে নগ্ন অবস্থায় ওই ছাত্রের ভিডিয়ো তুলতে শুরু করে অভিযুক্তরা। সঙ্গে চলে অশ্রাব্য গালাগালি। এরপর ওই ছাত্রকে নগ্ন অবস্থায় দৌড়াতে বলে তারা। তখন একটি গামছা পরে ঘরের দৌড়াতে থাকেন তিনি। এর পর তাঁর গামছাটিও কেড়ে নেওয়া হয়। তখন দৌড়াতে দৌড়াতে শৌচাগারে চলে যান ওই ছাত্র। কিছুক্ষণ পর শৌচাগার থেকে বেরিয়ে চার তলার ব্যালকনির পাঁচিল টপকে নীচে পড়ে যান ওই তিনি।তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধৃত সৌরভ চৌধুরীর হেফাজত থেকে নিহত ছাত্রের একটি হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি উদ্ধার হয়েছে। সেই প্যান্ট ও গেঞ্জি নিহত ছাত্রেরই কি না তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করাবে পুলিশ।