দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের হস্টেল পড়ুয়ার মৃত্যু। এবার এসএসকেম। এসএসকেএমের হস্টেলে ডাক্তারির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ওই নার্সিং ছাত্রী মেডিক্যাল চত্বরেই লিটন হস্টেলে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে আবাসিকদের দাবি। এরপর খোঁজাখুঁজির পর হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় ওই নার্সিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রীর তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। হস্টেলে এসে পৌঁছয় পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা।এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে আদতে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম সুতপা কর্মকার। নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে কী কারণে ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পাওয়ার পরেই কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ)-এর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের দলটি ঘটনাস্থল থেকে নানা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে।পুলিশ ও হস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাথরুমের দরজা বন্ধ ছিল। সুতপারই এক বান্ধবী ডাকতে যান। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকিতেও সাড়া না মেলায় হস্টেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। খবর যায় ভবানীপুর থানায়। তারপর পুলিশ গিয়ে হস্টেলের বাথরুমের দরজা ভেঙে সুতপার দেহ উদ্ধার করে। বান্ধবীরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই কথাবার্তা কমিয়ে দিয়েছিলেন সুতপা। কারোর সঙ্গে বেশি মেলামেশাও করছিলেন না। কেন মন খারাপ, তা জানার চেষ্টা করেছিলেন বান্ধবীরা। কিন্তু সুতপা তাঁদেরও সেভাবে কিছু জানাননি বলে দাবি।পুলিশ সুতপার মোবাইল ফোন সিজ করেছে। কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুতপার বান্ধবী ও হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। ক্লাসে কতটা মনোযোগী ছিলেন, তাঁর পরীক্ষার ফলও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে।