দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সাইবার অপরাধের এক মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সেই মামলায় দুই অভিযুক্ত কুণাল গুপ্তা ও নন্দিনী গুপ্তা এদিন হাইকোর্টে হলফনামা দিতে এসেছিলেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি মাঝে দুবাইয়ে চলে গিয়েছিলেন। তারপর এদিন আদালতে হলফনামা দিতে আসেন। আর তখনই সিআইডি তাঁদের গ্রেফতার করে হাইকোর্ট থেকে। ওই সাইবার অপরাধের ঘটনায় পৃথক এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছিল সিআইডিও। সেই এফআইআর -এর ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করে নেন রাজ্যের গোয়েন্দারা।কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে আসা দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। কেন গ্রেপ্তার করা হল তাঁদের, তা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কার নির্দেশে এই কাজ করল সিআইডি, আগামিকাল কৈফিয়ত তলব করলেন তিনি।কুণাল এবং নন্দিনী গুপ্তা নামে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ১১৭ কোটি টাকা সাইবার অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি। ইডিও তাঁদের তলব করে। আর তারপরই আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে হাজির হন দু’জনেই। আর সেই সুযোগেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। দুপুরে আদালতে শুনানির সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর কাছে গ্রেপ্তারির কথা জানান দম্পতির আইনজীবী। আর সেকথা শুনে সিআইডিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিআইডি’র উদ্দেশে প্রশ্ন, “কার নির্দেশে সিআইডি এটা করল? রেজিস্ট্রার জেনারেলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে? কোন সুপিরিওর নির্দেশ দিয়েছেন?” সিআইডি’র তরফে জানানো হয়, হাই কোর্টের পশ্চিম গেটের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের ভিতর থেকে না।বিচারপতি বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে এই আদালতের নির্দেশে তাঁরা হলফনামা দেন। তারপরে যদি অন্য এজেন্সি তাঁদের তুলে নিয়ে যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। কেন রুল ইস্যু করব না? এতদিন সিআইডি কী করেছে? আমি প্রধান বিচারপতি সঙ্গে আজই কথা বলব। না হলে এই প্রবণতা চলবেই। দরকারে নির্দেশিকা তৈরি করব। ইচ্ছে হলে গ্রেপ্তার করুন। ইচ্ছে হলে আগামিকাল গ্রেপ্তার করুন। যা খুশি করুন। কাল সকালে এই মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব। তারপরে যা বোঝার বুঝবেন। আগে এই মামলার শুনানি সোমবার ধার্য হয়েছিল। হাই কোর্টের নির্দেশে একজন হলফনামা সই করতে আসলেন আর সিআইডি হামলে পড়ে তাঁকে তুলে নিল। এই বিষয়টা যদি গ্রাহ্য করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে।” শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।