দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা পোশাক পরে কিছু ছেলে–মেয়ে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ নিয়ে জলঘোলা হতেই এবার রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ আর্টসকে তলব করল যাদবপুর থানার পুলিশ। একই সঙ্গে এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোসাইটি সংস্থার প্রধান কাজি সাদেক হোসেনকেও তলব করা হয়েছে। কার অনুমতিতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল তারা? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে তলব করা হয়েছে। যে সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে ২০ জন যুবক–যুবতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন সেই সংস্থার প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।এছাড়া ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও আজ ফের তলব করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। লালবাজার সূত্রে খবর, গতকাল পুলিশ তদন্ত করতে গেলে পুলিসের সঙ্গে বিশ্ববিবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে এদিন ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা আরও ৬ জনকে তলব করেছে পুলিস। ৬ জনই হস্টেলের আবাসিক। ওদিকে, গতকাল বিকেলে অস্থায়ী উপাচার্য বলেছিলেন যে, আজ থেকে সিসিটিভি বসবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি। ফলে এখনও পর্যন্ত সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি লাগানোর জন্য সরকারের কাছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা চেয়েছ কর্তৃপক্ষ। কারণ ১০টি সিসিটিভি লাগাতে খরচ হবে এই পরিমাণ টাকা। প্রসঙ্গত, গতকাল সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন। একটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য বলে নিজেদেরকে দাবি করেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার পুলিসের তরফে বলা হয় সেনার পোশাক পরে ১০-১৫ জন ছেলেমেয়ে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। যখন তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়, তখন তারা জানায় যে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামে একটি অর্গানাইজেশনের সদস্য তারা। কিন্তু কেন তারা সেনার পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল? তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর নকল পোশাক পরে আসা ওই দলের নেতা কাজি সাদেক সিদ্দিকী দাবি করেন, ‘আমরা বিশ্ব শান্তি সেনা।’ পুলিশ এই ঘটনায় একদিকে যেমন চিন্তায় পড়েছে তেমনই ভারতীয় সেনার নাম এবং প্রতীক অপব্যবহারের জন্য মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সব তথ্যও খতিয়ে দেখছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও খবর। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের উপাচার্য বলেন, ‘তারা নিজেদের মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। এমনকী বৈঠক করার কথা বলে। তাদের আমি সময়ও দিয়েছিলাম। আর লিখিত পরিচয় জানাতে বলেছিলাম।’