Breaking News

এসটিএফের জালে পাক গুপ্তচর!পাকিস্তানকে ভারতের নথি পাচার?তদন্তে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতের নাম ভক্ত বংশী ঝা। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) ভি সলোমন নেশাকুমার এই তথ্য জানিয়েছেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওই ব্যক্তি পাঠিয়েছে বলে জানতে পেরেছে এসটিএফ।শনিবার তাকে আদালতে পেশ |ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যপাচারের অভিযোগ রয়েছে। যুগ্ম কমিশনার জানান, শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বংশী ঝা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাচ্ছিল। ধৃত বিহারের দারভাঙার বাসিন্দা। এসটিএফের দাবি, ভক্ত বংশী ঝায়ের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ধৃত দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তাতে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভক্ত বংশী ঝা এমন অনেক তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছে, যেগুলি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত।
এসটিএফ জানিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। ভি সলোমন নেশাকুমার আরও বলেছেন, যে ধৃত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত অনেক তথ্য ছবি, ভিডিয়ো, অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে পাঠিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস কলকাতায় ছিল সে । সেই সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরেই তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায় এসটিএফ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারায় ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করার পাশাপাশি অফিসিয়াল অ্যাক্ট ৩/৯ এর আর/ডব্লিউ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভক্ত বংশী ঝা দিল্লিতে থাকত। গত তিন মাস ধরে সে কলকাতা ও এর আশপাশের এলাকায় সক্রিয় ছিল। একটি কুরিয়ার কোম্পানিতে চাকরি করত ভক্ত বংশী। এর আগে দিল্লিতে থাকার সময় প্রতিরক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যের ছবি তুলে পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাঠিয়েছিল ধৃত। সেক্ষেত্রে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় এসটিএফ। তদন্তকারীদের দাবি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *