প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-‘কোন অসাধুর দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই বাড়াবাড়ি করেছে’? গণধর্ষণ মামলায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় বিস্মিত হাইকোর্ট। নির্যাতিতার কাছে নরেন্দ্রপুর ও লেক ওসি-কে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে প্রতীকী ক্ষতিপূরণও |ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজিরা দেওয়ার নোটিস দিতে ধর্ষণে অভিযোগকারী মহিলার বাড়িতে মাঝরাতে হাজির হয় পুলিশ। এমন কী রাতে তাঁকে হোটাসঅ্যাপে কলও করা হয়। এই ঘটনায় দুই থানার আইসিকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের মহিলার কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমাও চাইতে বলা হয়েছে।ওই মহিলা লেক ও নরেন্দ্রপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। আলিপুর আদালতে সেই মামলা চলাকালীন এজলাসে দাঁড়িয়েই ওই মহিলা এক ব্যক্তির দিকে আঙুল তোলেন। ওই ব্যক্তি তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তখন বিচারক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন।
কিন্তু পুলিশ তাঁকে না জিজ্ঞাসাবাদ করে উল্টে মহিলাকেই নোটিস পাঠায়। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। জানা গিয়েছে, নোটিস দিতে মাঝরাতে দুই থানার পুলিশ মহিলার বাড়ি গিয়ে হাজির হন। শুধু তাই নয় রাতেই তাঁকে হোয়টসঅ্যাপ কলও করা হয়। এর পরই মহিলা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই মামলায় লেক এবং নরেন্দ্রপুর থানার ওসিকে জরিমানা করে বিচাপরতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। দুইজনকেই লিখিত ভাবে মহিলার ক্ষমা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুই ওসির ভূমিকার নিন্দাও করেছে বেঞ্চ।