প্রসেনজিৎ ধর :- এখনও নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়নি | তবে তার আগেই জোরদার প্রচারে লেগে পড়েছে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল | আর তৃণমূল সরকারের বিগত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে বুধবার হুগলি জেলার পান্ডুয়ার সিমলাগড়ের চাঁপাহাটি কলোনিতে জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় | আর সেখানে পৌঁছতেই এলাকাবাসীদের একগুচ্ছ অভাব-অভিযোগ শুনতে হল সাংসদকে | এদিন ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘রূপশ্রী’, ‘কন্যাশ্রী’, সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা এলাকার মানুষ পাচ্ছেন কি না তার খোঁজ নেন সাংসদ | আর তখনই সেখানকার বাসিন্দারা সাংসদকে জানান পানীয় জলের কষ্টের কথা,কলোনির ভিতরের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে থাকার অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ পাওয়া এরকম একাধিক অভিযোগ |
সেখানকার বাসিন্দা রিঙ্কু দে সাংসদকে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমার ঘর নেই | আমপানের কোনও ক্ষতিপূরণও পাইনি|’’এই কথা শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে কথা বলে সাংসদ বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরকার এই তালিকা তৈরি করেছে| বিজেপি-র জন্যই গরিব মানুষ বঞ্চিত |’ যদিও পান্ডুয়া ব্লকে এই তালিকায় যাঁদের নাম নেই, ভোট মিটে গেলে তাঁদের সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কল্যাণ | এলাকার সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে বলেও এদিন প্রতিশ্রুতি দেন সাংসদ | যদিও কল্যাণবাবুকে কটাক্ষ করে এদিন পান্ডুয়ার বিজেপি নেতা অশোক দত্ত বলেন, ‘‘১০ বছর কিছুই করেননি স্থানীয় তৃনমূল নেতারা| পঞ্চায়েত থেকে সবাই লুটেপুটে খেয়েছে। তাই ভোটের আগে শ্রীরামপুরের সাংসদকে এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে |’’ নির্বাচন কাছে আসতেই প্রতিশ্রুতি-পাল্টা প্রতিশ্রুতি লেগেই আছে রাজনৈতিক দলগুলির | এখন একুশের নির্বাচনে জিতে কোন দল মসনদে বসেন আর মানুষের প্রতিশ্রুতি মতো কাজ করেন সেটাই এখন দেখবার বিষয় |