দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুরের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। সোমবার যাদবপুরের গ্রিন পার্ক এলাকার একটি ভাড়াবাড়ির ছাদ থেকে থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বছর বাইশের ওই তরুণী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম মল্লিকা দাস, বাঁকুড়ার বাসিন্দা। গত দেড় বছর ধরে গ্রিন পার্কের একটি বাড়িতে ভাড়া হিসেবে ছিল সে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে আরও দুজন রুম মেটও থাকত। এর মধ্যে একজন রুম মেট জানায়, গতকাল রাত ১১টায় শেষ দেখা গিয়েছে ওই ছাত্রীকে। ফোনে কারোর সঙ্গে কথা বলছিল সে। তারপর কথা বলতে বলতে ছাদে উঠে যায় সে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায়, ঘরের দরজা খোলা। ছাদের মধ্যে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ফোনে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে খুব ঝামেলা হচ্ছিল ওই ছাত্রীর। ফোনে খুব চিৎকার চেঁচামেচি করতে শোনা যাচ্ছিল।
এরপরই সকালে উঠে দেখা যায় এই অবস্থা। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই ছাত্রী। এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পূর্ব যাদবপুর থানায়। খবর পেয়ে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।ওদিকে যাদবপুর ভাড়া বাড়ি থেকে নার্সিং ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের খবর পেতেই বাঁকুড়ার হাড়মাসড়া গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দেহ উদ্ধারের খবর মিলতেই পরিবারের সকলে মিলে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আপাতত তাঁরা কলকাতাতেই আছেন। মল্লিকার সহপাঠীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, ওই পড়ুয়া হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন। তাই ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন, এমনটা মানতে নারাজ কেউই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অবশ্য এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে। সহপাঠীদের একাংশ জানাচ্ছেন যে, সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ওই পড়ুয়া। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করতে পারেন তা ভাবতেই পারছেন না কেউ ।