Breaking News

শ্যামবাজারের স্কুলের সামনে মিলল রক্তাক্ত মৃতদেহ,মাথায় আঘাত, মুখ থেঁতলানো!তদন্তে পুলিশ

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-কলকাতায় ফের উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার |

। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্যামবাজার এভি স্কুলের প্রধান গেটের একেবারে সামনেই একটি পুলিশ কিয়স্কের কাছ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। মৃতের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ থেঁতলানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। এই অবস্থায় এটি খুনের ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে স্থানীয়রা বছর ৪৫–এর ওই ব্যক্তির মুখ চিনলেও তার নাম বলতে পারেননি। কিভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল? তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।শ্যামবাজারের এভি স্কুলের সামেই একটি পুলিশ কিয়স্ক রয়েছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে এলাকারই এক পাম্প কর্মী প্রথমে দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কিয়স্কে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি ডেকে দেখান। দেহ উদ্ধারের খবর তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। নিয়ম অনুযায়ী, দ্রুত দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাতে প্রাথমিকভাবে মাথার পিছনে আঘাতের ফলেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে মুখ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। আপাতত তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই ব্যক্তির রাঁধুনি। মনে করা হচ্ছে এলাকার ছোটো হোটেলগুলিতে রান্নার কাজ করতেন। দেহের পাশে রান্না করার সরঞ্জাম পড়ে ছিল। তবে মুখ চিনলেও, এলাকাবাসীরা তাঁর নাম বলতে পারেননি।প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে দেহটি পড়েছিল তার অদূরেই পুলিশের কিয়স্ক। যদি খুন হয়ে থাকেন, তাহলে পুলিশ কিয়স্কের সামনেই কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? নাকি অন্যত্র খুন করে দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলেও কীভাবে পুলিশের নজর এড়াল? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *