প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নবম-দশম শ্রেণীর চাকরি বাতিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই নিয়ে তৃতীয় বার, ফের এসএসসির রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি| তাঁর বক্তব্য, রিপোর্টে একাধিক অসামঞ্জস্য রয়েছে। চাকরি বাতিল নিয়ে এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি এসএসসি। ফের রিপোর্ট পেশ করার ডেডলাইন বেঁধে দিল হাইকোর্ট।বুধবারের মধ্যে ফের রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এখন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি বসাক ও বিচারপতি শব্বর রসিদির বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেন এসএসসি-র প্রতিনিধিরা। কিন্তু তা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কীসের ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে, তা এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। এদিনের রিপোর্টেও তা স্পষ্ট নেই বলে জানান বিচারপতিরা। আর সেই কারণেই ফের ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হল এসএসসি-কে।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি চলছে হাই কোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলায় বহু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয় আদালতের নির্দেশে। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল। কিন্তু সেই বাতিলের উপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে গেলেও কীসের ভিত্তিতে এসএসসি চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এসএসসি-র কাছে জানতে চান, নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছিল? এর আগে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, সেই হলফনামায় তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। কিন্তু সোমবার এসএসসি-র নতুন রিপোর্টেও সন্তুষ্ট হল না হাইকোর্ট।