Breaking News

অধ্যক্ষ হিসাবে মানিকের নিয়োগ অবৈধ,বামেদের অস্বস্তি বাড়িয়ে আদালতে মানল রাজ্য!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষপদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ ছিল অবৈধ। বামেদের অস্বস্তি বাড়িয়ে ইউজিসি-র পর আদালতে একথা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকারও। মানিকের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে দানিশ ফারুকির করা মামলায় শুক্রবার হলফনামা দিয়ে মানিকের নিয়োগ যে অবৈধভাবে হয়েছিল তা স্বীকার করে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর ফলে বিপদ বাড়ল মানিকেরও | যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন দানিশ ফারুকি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে ওই মামলা। আগেই সেই মামলায় নিজেদের হলফনামা দিয়েছিল ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ বেআইনি। সঙ্গে এও জানানো হয়েছিল, অধ্যক্ষ পদে বসার মতো কোনও যোগ্যতাই ছিল না মানিকের। এবার রাজ্যের তরফেও হলফনামা দিয়ে একই বক্তব্য জানানো হল আদালতে।রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া হলফনামায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার আগে মানিক ভট্টাচার্যের কোথাও পার্ট টাইম লেকচারার হিসেবে অভিজ্ঞতা ছিল না। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের।

রাজ্যের বক্তব্য, ২০০০ সাল পর্যন্ত ওই কলেজটি বেসরকারি কলেজ ছিল। সেক্ষেত্রে ১৯৯৮ সালে নিয়োগ দেওয়ার সময় নিয়োগকর্তার ইউজিসির রেগুলেশনের উপর নজর দেওয়া উচিত ছিল বলেও জানিয়েছে রাজ্য।মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ১৯৯৮ সালে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ ছিল সম্পূূর্ণ অবৈধ। UGCর বিধির পরোয়া না করে যোগ্যতা না থাকলেও মানিককে ওই পদে বসানো হয়েছিল। যদিও তখন কলেজটি ছিল বেসরকারি হাতে। ২০০০ সালে কলেজটি অধিগ্রহণ করে সরকার। UGCর বিধি অনুসারে অধ্যক্ষ হতে গেলে ১৫ বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা লাগে। সঙ্গে লাগে PhD. মানিকের এর কোনওটাই ছিল না। অধ্যক্ষ হওয়ার আগে মানিক পড়াতেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজয়গড়ের একটি স্কুলে। এই মামলায় গত ১১ ডিসেম্বর মানিকের নিয়োগ অবৈধ ছিল বলে মেনে নিয়েছিল UGC, এবার মানিকের নিয়োগ অবৈধ বলে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করল রাজ্য সরকার।
এই মামলায় অধ্যক্ষ হিসাবে মানিকের বেতন সুদ সমেত ফেরত নিতে হবে দাবি জানিয়েছেন আবেদনকারী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *