প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে শরীরে ঢুকে গিয়েছিল দেড় ফুটের রড। শেষে কলকাতা মেডিকেলের চিকিৎসকদের তৎপরতায় সুস্থ হলেন প্রৌঢ়া। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন হরিপালের বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী প্রৌঢ়া মালা খাঁড়া। ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে বিমের ভিতর থেকে বেরিয়ে থাকা লোহার রড মালা খাঁড়ার ডান হাতের নীচ দিয়ে ঢুকে কাঁধ ফুঁড়ে বেড়িয়ে যায়। প্রায় দেড় ফুট লম্বা লোহার রড শরীরে গাঁথা অবস্থাতেই মেডিকেলে এসে পৌঁছন মালা খাঁড়া। তাঁকে জরুবি বিভাগে ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কার্যত নেতিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওই অবস্থাতেই চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ তাঁর অস্ত্রোপচারের সিন্ধান্ত নেন। মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর শিবজ্যোতি ঘোষের নেতৃত্বে শল্যচিকিৎসকদের তিন সদস্যের একটি টিম তৈরি করা হয়। এই টিমে ছিলেন সার্জন অর্ণব দাস, সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য এবং প্রচেতা কুমার। তাঁরা সফল ভাবে অস্ত্রোপচার করে বের করে আনেন রডটি। প্রফেসর শিবজ্যোতি ঘোষ জানান, লোহার রডটি অ্যাক্সিল্যারি আর্টারি ও ভেইনের একদম পাশেই গা ঘেঁষেই ঢুকে ছিল। ফলে খুব সাবধানে করতে হয়েছে। কারণ গুরুত্বপূর্ণ রক্তবাহগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, রোগীর হাত কেটে বাদ দিতে হতো। এ ছাড়া আর কোনও উপায় থাকত না।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপারেশনের পর রোগী এখন সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত। এর মধ্যই কাজ করতে শুরু করেছে মালা খাঁড়ার হাত। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দু-একদিন তাঁকে পর্যবেক্ষণের রেখে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে। তবে এই প্রথম নয়, কলকাতার হাসপাতালে এর আগেও এই ধরনের রড ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় সাফল্যের সঙ্গে অস্ত্রোপচার করে রড বার করা হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal