দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- অযোধ্যায় মহা ধুমধাম করে উদ্বোধন হল রাম মন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রামলালার। জন্মভূমিতে স্বসম্মানে বিরাজমান ভগবান রাম। গর্ভগৃহের অন্দরে বেজে উঠল সিঙা। সানাইয়ের সুরে ধ্বনিত হল ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’। ৮৪ সেকেন্ডের পবিত্র মুহূর্তে ঘুচল ৫০০ বছরের বন্দিদশা। ঘুরল ইতিহাসের চাকা। প্রতিশ্রুতি পূরণ করে নরেন্দ্র মোদী দেখিয়ে দিলেন, ‘মন্দির ওয়াহি বন গয়া।’সোমবার ঠিক বেলা ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৩ সেকেন্ডে ‘অভিজিৎ মুহূর্ত’ শুরু হয়। পবিত্র এই মুহূর্ত স্থায়ী ছিল ১২টা বেজে ৩০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড পর্যন্ত। তার মধ্যেই রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করলেন প্রধানমন্ত্রী।সঙ্গে ছিলেন আরআসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ ৮৪ সেকেন্ডে হলেও অযোধ্যার রামমন্দিরে সমগ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি চলল এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। ১২টা ৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মোদী অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছেছিলেন সাড়ে দশটার কিছু পর। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অযোধ্যার বাল্মীকি বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অযোধ্যার হেলিপ্যাডে পৌঁছন। ১০টা ৫৫ মিনিটে রামমন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছনোর কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। বেলা ১২টার পরে শুরু হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান |পুজো শেষে রামলালাকে প্রদক্ষিণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর মাটিতে শুয়ে পড়ে প্রণাম করেন তিনি।
প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ শেষে অযোধ্যার রামমন্দির থেকে বেরিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাত জোড় করে মন্দির চত্বরে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানান তিনি। সেখানেই শুরু হবে জনসভা।প্রায় আট হাজার অতিথির উপস্থিতিতে, আলো ঝলমলে সুসজ্জিত অযোধ্যায় এই মহোৎসব পালিত হল। সশরীরে রাম জন্মভূমি উপস্থিত থাকতে না পারলেও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে অংশ নেন গোটা দেশের কোটি কোটি মানুষ। তারকাখচিত অযোধ্যায় রয়েছেন সস্ত্রীক মকেশ আম্বানি, বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকর, অনীল কুম্বলে, রূণবীর কপুর ও আলিয়া ভট্ট, ভিকি কৌশল ও কাটরিনা কাইফ, অনুপম খের, কঙ্গনা রানাউত সহ অন্যরা।