দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা সহ ৬ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার নিয়ম ভাঙার অভিযোগে চলতি অধিবেশনে আর অংশ নিতে পারবেন না এই বিধায়কেরা।
বাজেট অধিবেশনেও সন্দেশখালি নিয়ে বিক্ষোভে দেখানোর জেরে সাপপেন্ড হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সাসপেন্ড হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘সাসপেন্ড হয়ে আমি গর্বিত। আমাদের কোনও দুঃখ নেই।’সোমবার অধিবেশন শুরুতেই সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু কবে বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা ‘সঙ্গে আছি সন্দেশখালি’ লেখা গেঞ্জি পরে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন। দেখেই ক্ষুব্ধ হন স্পিকার তিনি গেঞ্জি খুলে ফেলার জন্য অনুরোধ করেন বিজেপি বিধায়কদের।
কিন্তু স্পিকারের সেই নিষেধ না শুনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিধায়করা। ওয়েলের কাছে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এরপর হাউসের মধ্যেই কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে স্পিকার তাঁদের মানা করতে থাকেন। কিন্তু তা শুনে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।অভিযোগ কক্ষের মধ্যেই, স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হুইসেল বাজাতে শুরু করেন তাঁরা।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, ‘আপনারা বাইরে গিয়ে যা খুশি করুন।’ কিন্তু স্পিকারের সেই কথা শোনেননি তাঁরা। সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতেই থাকেন তাঁরা। ক্ষুব্ধ স্পিকার তখন তাঁদের সাসপেন্ড করেন।এ দিন শুভেন্দু ছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল, বঙ্কিম ঘোষরা।সাসপেন্ড হওয়ার পর বাইরে বেরিয়েও বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই হয়েছে। সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য আমরা সাসপেন্ড হয়েছি। আমাদের যত সাসপেন্ড করবে আমরা তত এগোব। সাসপেন্ড হয়ে আমি গর্বিত।’