দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই খারিজ করে দেওয়া হতে পারে বলে বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ‘আসল ওএমআর শিট চাই’, মঙ্গলবার এমনই বার্তা দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রয়োজনে আবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি চালাতে পারে বলে এদিন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওএমআর শিটের তথ্য না পেলে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেবেন, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞান বলছে ডেটা অর্থাৎ ডিজিটাইজড তথ্য সহজে নষ্ট হয় না। এমনকী মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। বিচারপতি মান্থা বলেন, “পৃথিবী থেকে মঙ্গলে গেলেও ডেটা পাওয়া সম্ভব। ওই ডেটা না পাওয়া গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে বাধ্য থাকবে আদালত।”মঙ্গলবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, ৩০৪ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে তারা। চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইলও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিচারপতি পদে থাকাকালীন প্রাথমিকের ওএমআর শিট মামলাগুলি শুনেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পর মামলাগুলি যায় বিচারপতি মান্থার এজলাসে। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা জানান, এই মামলায় সিবিআই-এর অনেক রিপোর্ট আদালতে পৌঁছয়নি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সব রিপোর্ট এজলাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।