প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-শুক্রবার সকাল থেকেই ভোগান্তিতে জেরবার নিত্যযাত্রীরা। শিয়ালদহের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ, চলছে ট্রেনের যাত্রিধারণ পরিকাঠামো বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজ। এর জেরে বাতিল প্রায় ৯০টি ট্রেন। যে গুটিকয়েক ট্রেন চলছে, তাতেও উপচে পড়ছে ভিড়। এর মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক এক ঘটনা। এদিন ভিড় ঠাসা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ২২ বছরের এক যুবকের। মৃতের নাম মহম্মদ আলি হাসান আনসারি। মৃত আলিকে বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবক টিটাগড় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানিবাজার এলাকার বাসিন্দা।শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনের ৫টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে রেলের তরফে। শিয়ালদহের বদলে কিছু ট্রেন চলছে দমদম থেকে। এছাড়া প্রায় ১০০-র কাছাকাছি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। ফলে যেসব ট্রেন চলছে, সেগুলিতে প্রবল ভিড়। আর সেই ভিড়ের চাপেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার সকালে আটটা বত্রিশ মিনিটে ব্যারাকপুর লোকালে কোনওরকমে টিটাগড় স্টেশন থেকে উঠেছিলেন ওই যুবক। ট্রেন ছেড়ে ২০০ মিটার এগোনোর পরই ট্রেন থেকে ওই যুবক পড়ে যান বলে খবর। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বিএন বসু হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর পরেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ উঠেছে পরিবার ও পড়শিদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ। হাসপাতালের সুপার অমিতাভ ভট্টাচার্য গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।