নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- মাঝ রাতে মধ্য কলকাতায় চলল গুলি। নিউ মার্কেট লাগোয়া মির্জা গালিব স্ট্রিটে গুলিবিদ্ধ হলেন এক যুবক। আহত যুবকের পায়ে গুলি লেগেছে। বলে জানা গিয়েছে। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ| ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধেয়। সোনু এবং রাকিবের মধ্যে বচসা হয়। তা সেই সময় মিটেও যায়। এরপর রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ একজনের বাড়িতে গাড়ি রাখতে আসে অভিযুক্ত সোনা ওরফে সোনু। সে কুখ্যাত অপরাধী গব্বরের শ্যালক। সোনু এলাকায় তোলাবাজি করে বলেই অভিযোগ। অভিযোগ, গাড়িতে রাখতে আসার খবর পেয়ে রাকিবের দলবল ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে পৌঁছয়। বেশ কিছুক্ষণ সোনু এবং রাকিবের দলবলের মধ্যে অশান্তি হয়। অভিযোগ, অশান্তির মাঝে আচমকা সোনু গুলি চালাতে শুরু করে। কমপক্ষে তিন রাউন্ড গুলি চলে বলেই খবর।তাতেই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। রাকিবের পায়ে গুলি লাগে। বাকি দুটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়ে সোনু। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিল রাকিব। পরে তাঁর বন্ধুরা রাকিবকে উদ্ধার করে|হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাকিব তালতলার বাসিন্দা। অভিযোগ, বেআইনি কলসেন্টার চালায়। তা জানা সত্ত্বেও পুলিশ রাকিবের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলেই অভিযোগ। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।পার্কস্ট্রিট থানা এবং লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা তদন্ত শুরু করেছে।স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “রাত্রিবেলা ৭০ থেকে ৮০ জন এসেছে হঠাৎ করে। আসার পরে কী ঝামেলা হল বুঝলাম না। গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেল। এরপর পুলিশ এল। তদন্ত শুরু করেছে।” প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছেন, বাইক নিয়ে রেষারেষির জেরে যুবকদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ঠিক কী কারণে গুলি চলল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।