দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- মঙ্গলবার দুপুরে বড়বাজার থানার ঠিক পিছনেই তিন নম্বর আমড়াতলা লেনের মেহতা বিল্ডিংয়ে মেহতা বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ওই বিল্ডিংয়ে রয়েছে ওষুধের পাইকারি দোকান। এমনিতেই এলাকাটি বেশ ঘিঞ্জি। আগুন লাগায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে সেখানে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। কী ভাবে আগুন, তা খতিয়ে দেখছে দমকল |মেহতা বিল্ডিংয়ের উল্টো দিকেই রয়েছে বাগরি মার্কেট। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বহুতলের চতুর্থ তলে আগুন লেগেছে। সেখানে রাসায়নিকের দোকান রয়েছে। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, রাসায়নিকের থেকেই আগুন লেগেছে। তবে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার পরেই বহুতলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এমনিতে ওই বহুতলে ওষুধের পাশাপাশি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান রয়েছে।এদিনের অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, অনেক টাকার সামগ্রী নষ্ট হয়েছে। দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন পুরোপুরি না নেভা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা সম্ভব নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা।এদিনের অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, অনেক টাকার সামগ্রী নষ্ট হয়েছে। দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন পুরোপুরি না নেভা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা সম্ভব নয়। বহুতলের চতুর্থ তলে দফতর রয়েছে শশী বৈদের। তিনি বলেন, ‘‘আগুন দেখেই প্রথমে চিৎকার করি। শুনে লোকজন ছুটে আসেন। তার পর হোস পাইপ দিয়ে জল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চার দিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। কিছুই দেখতে পারছিলাম না। অসুস্থ হয়ে পড়ি। সকলে মিলে নীচে চলে আসি।’’ তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় তলের যে দোকানে আগুন লেগেছে, সেটা দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ পড়েছিল। আগুন লাগার পর বহুতলের ম্যানেজারকে খবর দেওয়া হয়। তিনি দোকানের মালিককে জানান। এর পর দোকানের মালিক এক কর্মীকে চাবি দিয়ে পাঠান। সেই চাবি দিয়ে দোকান খুলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়।