প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:- পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কলকাতা থেকে কোন্নগরের জোড়াপুকুরের বাড়িতে ফেরার সময় টোটোতে ফেলে এলো ব্যাগ | হাওড়া থেকে ট্রেন এ করে কোন্নগর স্টেশনে নেমে কোন্নগর কফি হাউসের সামনে থেকে টোটো নিয়েছিলেন সুশান্ত ভট্টাচাৰ্য ও তার স্ত্রী নন্দিনী ভট্টাচয| সেই টোটোয় সুশান্তবাবু,তাঁর মা, স্ত্রী এবং ছেলে ওঠেন | পিছনের সিটে তাঁদের একটি ট্রলি ব্যাগ রাখা ছিল |তাঁরা বাড়িতে এসে টোটো থেকে নামার পর তাঁরা দেখতে পান ভুলবশত তাঁদের ট্রলি ব্যাগটি টোটোতেই ফেলে এসেছেন | তিনি এবং তাঁর ছেলে টোটোর পিছনে ছুটলেও টোটোওয়ালার নাগাল পাননি | সেই টোটোর খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রীনা পাণ্ডের স্বামী সুব্রত পাণ্ডেকে পুরো বিষয়টি জানালে তিনি বলেন কোন্নগর ফাঁড়িতে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানাতে | বিষয় টি জানানোর সাথে সাথেই ফাঁড়ির ইন্সচার্জ বিশ্বজিৎ পাল তার পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েন |তদন্তে নেমে ষ্টেশনের সামনের CCTV ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় টোটো চালক রাজা কে |পুলিশের তদারকিতে রাত ১ টার সময় টোটো চালক রাজার বাড়ি থেকেই সেই খোয়া যাওয়া ট্রলি ব্যাগ টি উদ্ধার করা হয় | কিন্তু সন্ধে ৭ টা থেকে রাত ১ টা পযন্ত টোটো চালক রাজা একবারের জন্যও মনে হলো না ব্যাগ টি লোকাল পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে আসি | ব্যাগ ফেরত না দিলেও পুলিশের তদন্তের জন্য ব্যাগ নিয়ে পগারপার হতে পারেন নি টোটো চালক রাজা | রাতেই ব্যাগটি উদ্ধার করে কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ | পুলিশ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুশান্তবাবু ও তার স্ত্রী নন্দিনী ভট্টাচাজ |তাঁদের সেই ট্রলি ব্যাগে জামাকাপড় ছাড়া সুশান্তবাবাবুর আংটি,গলার চেন এবং তাঁর স্ত্রীর হাতের বালা কানের দুল সহ গহনাগাটি মিলিয়ে আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকার সোনার গহনা ছিল ওই ব্যাগে, যা অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছেন ভট্টাচাৰ্য পরিবার | সুশান্তবাবুর বক্তব্য টোটোওয়ালার উচিৎ ছিল যখন ব্যাগটি তার টোটোয় দেখতে পেয়েছিলেন তাহলে পুলিশের অপেক্ষা না করে সেই ব্যাগটি বাড়ি এসে ফেরৎ দেওয়া কিংবা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ ছিলো| ব্যাগ ফিরে পেয়ে সুশান্তবাবুর স্ত্রী নন্দিনী ভট্টাচাৰ্য বলেন, ব্যাগ ফেরত পাব ভাবতেই পারিনি। পুলিসের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছেন|