প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল বাংলার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার শিক্ষক, অশিক্ষকদের চাকরি বাতিলের রায় হয়। অনিশ্চিত হয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন শিক্ষকরা। সেই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। ভোটের পর এই মামলার শুনানি হবে, এই কথা জানানো হয়। মঙ্গলবার ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল। তবে কোনও রায় হয়নি এদিন। মামলার শুনানি আরও তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল করতে হবে।মামলার সারসংক্ষেপ জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি।প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় আনার জন্য চারজন নোডাল আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আস্থা শর্মা, শালিনী, কুণাল চট্টোপাধ্যায় ও পার্থ সিটকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যাঁদের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করতে গিয়ে এদিন এসএসসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।যেহেতু অনেকগুলি বিষয় নিয়ে মামলা, তাই একসঙ্গে শোনা সম্ভব নয়। সেই কারণেই নোডাল আইনজীবীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি থাকছে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই যাচ্ছে। এদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন রাকেশ দ্বিবেদী। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সওয়াল করেন জয়দীপ গুপ্তা।কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বোর্ড বহু ক্ষেত্রে উত্তর দেয়নি অথবা আদালতেই আসেনি। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে বলুন। নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি- সবকটি ক্ষেত্রে যাদের চাকরি চলে গিয়েছিল তাদের মামলা শোনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal