নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- রবিবাসরীয় সকালেই আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি হানা দেয় সিবিআই। আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তো না জড়িয়েছিলই তাঁর, এবার আর জি করে দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এরই মধ্যে সন্দীপ ঘোষের এক ঘৃণ্য রূপ সামনে আনলেন আর জি করের প্রাক্তন কর্মী।আরজি করের মর্গে দীর্ঘদিন ক্লার্ক হিসেবে কাজ করেছেন তারক চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা চোখের সামনে দেখেছি। আর সন্দীপ ঘোষকে গুণ্ডা সর্দার বললেও ভুল হবে না। মর্গ থেকে ফার্মেসি- সব জায়গায় চলত দুর্নীতি। ভাল ডাক্তার হলেও, ওঁর পছন্দ না হলে বদলি করে দিতেন।” প্রাক্তন ওই কর্মীর দাবি, হাসপাতালের গেটে প্রবেশ করা থেকে শুরু করে মর্গ পর্যন্ত নিজস্ব একটা ‘সেট আপ’ তৈরি করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। অর্থাৎ তাঁর কথামতোই সবটা চলত বলে দাবি করেছেন তারক। তাঁর কথায়, ‘সুইপার টু সুপার- সবাইকে নিজের কন্ট্রোলে নিয়ে নিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ।’আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হাসপাতালের শবাগারের প্রাক্তন কর্মী তারক চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, মৃতদেহ সংরক্ষণ করলে সন্দীপ ঘোষ ফেঁসে যেত। তাই তড়িঘড়ি দেহ পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।তারকবাবু বলেন, ‘দেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হলে কুখ্যাত অধ্যক্ষ তো ফেঁসে যেত। তাড়াতাড়ি পুড়িয়ে না দিলে প্রমাণগুলো থেকে যেত। পুলিশ চাইলে মৃতদেহ হাসপাতালেই সংরক্ষণ করা যেত। হাসপাতালে ৪২টি মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে সম্পূর্ণ সুরক্ষিতভাবে দেহ রাখা যেত। কিন্তু রাখলে সন্দীপ ঘোষ ফেঁসে যেত। ও সব জানে। আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কারচুপির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত না হলে কেন তথ্য গোপন করে খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেন সন্দীপবাবু?কেন সাত তাড়াতাড়ি দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করল পুলিশ?