নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা :- আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। তারই মধ্যে বিরাট খবর। হাসপাতালে ৮ অগাস্ট মধ্যরাতে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এরপর দিনই ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ অর্থাৎ অপরাধস্থলের পাশের ঘরটি ভাঙাভাঙি শুরু হয়।স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ১০ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সব বিভাগের অন ডিউটি ডক্টরস রুম এবং তার সংলগ্ন শৌচাগার সংস্কার, পুনঃনির্মাণের জন্য পি ডব্লিউ ডি-র সিভিলকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার জন্য তৎকালীন প্রিন্সিপাল ডক্টর সন্দীপ ঘোষ নির্দেশ দেন। আর এতেই জোরালো হয়েছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও।প্রসঙ্গত, এই ভাঙচুরের পরেই তদন্তের দায়িত্বভার হাতে পায় সিবিআই। কিন্তু তার আগেই ক্রাইম সিন অর্থাৎ সেমিনার রুম নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ আরওই জোরদার হয়ে ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, হঠাৎ কেন এই ভাঙচুর? কার নির্দেশেই বা এই সংস্কার? এই নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে সামনে এসেছে, পিডব্লিউডি-কে লেখা একটি অনুমতিপত্র। যা আসলে, চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম-শৌচাগার ভাঙার নির্দেশ ছাড়া কিছু নয়। সেই নির্দেশপত্রে সই রয়েছে সন্দীপ ঘোষেরই। তারিখ দেওয়া রয়েছে, ১০ অগস্ট। অর্থাৎ ৯ তারিখে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঠিক পরের দিন।আরজি করে এই ভাঙচুর নিয়ে যখন আদালতে প্রশ্ন উঠেছিল, তখন কর্তপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল, এই সংস্কারের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। সেই মোতাবেকই কাজ হয়। তবে পিডব্লিউডি-র কাগজে স্পষ্ট হয়ে গেল, এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই সন্দীপ ঘোষ পূর্ত বিভাগের সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সংস্কারের। ওই নির্দেশনামায় উল্লেখ করা রয়েছে, ১০ অগস্ট আরজি করের প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের উপস্থিতিতেই সংস্কার-জনিত ভাঙচুরের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতোই নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ।