প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর ইডি আটক করল সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূনের বাড়িতে যান ইডির বেশ কয়েক জন আধিকারিক। তার পর টানা তল্লাশি শুরু হয়। দুপুর ২টো নাগাদ প্রসূনকে আটক করে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয়। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছিল প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। সন্দীপ ঘোষ যখন আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হন, প্রসূনকে তাঁর সঙ্গে প্রায়ই দেখা যেত। ইডি সূত্রে খবর, প্রসূনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যানিংয়ের নারায়ণপুর মৌজায় সন্দীপের সেই বাংলোয়। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পরেই ক্যানিংয়ে তাঁর একটি বাংলোর কথা জানা গিয়েছে। কয়েকশো বিঘা ফাঁকা জমির মাঝে তৈরি হওয়া বাংলোটির নাম ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই বাংলোটি সন্দীপের। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ‘ডাক্তারবাবুকে’ এই বাংলোতে আসতেও দেখছেন তাঁরা। অন্যদিকে, প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। ‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। আরজি কর-কাণ্ডে একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল যে সেমিনার হল মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সেমিনার হলেই বহু মানুষের ভিড়। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, ঘরের ভিতরে বহু লোকের ভিড়।সূত্রের খবর,তাঁদের মধ্যেই ছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের তৎকালীন আপ্তসহায়ক প্রসূন চট্টোপাধ্যায় |প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত হয়েও কেন আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন, ভাইরাল ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ।