প্রসেনজিৎ ধর :- আরজি কর কাণ্ডে আদালতে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই।আদালত সূত্রের খবর, গত ৯ অগস্ট আরজি করের ঘটনা নিয়ে এদিন শিয়ালদহ আদালতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, টালা থানাতে বসেই ঘটনার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছিলেন থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এমনকী ভুয়ো রিপোর্ট তৈরিতেও ওসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ধর্ষণ, খুন, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট এবং দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে নেমেছে সিবিআই। ধর্ষণ করে খুনের তথ্য সিবিআই পেয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের কথা বলা হলেও অভিযোগের সত্যতা প্রমাণই এখন সিবিআইয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই আবহে আজ, বুধবার শিয়ালদা আদালতে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টেই সিবিআইয়ের দাবি, টালা থানায় বসেই ঘটনার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেন তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এমনকী নতুন রিপোর্ট তৈরিতেও হাতযশ ছিল তাঁর। আদালতে এই দাবি করে এবার বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করল সিবিআই।অন্যদিকে জামিনের সপক্ষে এদিন আদালতে তীব্র সওয়াল করেছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী।আদালতে তিনি বলেন, “সিবিআই যখনই তলব করেছে তখনই আমার মক্কেল তাঁদের হাজিরায় সাড়া দিয়েছে। ডিউটি নিয়েও কোনও প্রশ্নও তোলা হয়নি। এমনকী ৪১ নোটিসও দেওয়া হয়নি।” জামিনের সওয়ালে তিনি আদালতে এও বলেন, “যেকোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। ২০ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখলেও কোনও জেরা করেনি।”সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্ট অনেক কিছু জানিয়েছি। আগামী ৩০ তারিখ আবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাব। আমাদের হাতে ম্যাজিক কিছু নেই। আমার অপেক্ষা করছি। সিসিটিভি, মোবাইল সব কিছু বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার জন্যে অপেক্ষা করছি। তাই জন্যে এখন আমরা জেল হেফাজত চাইছি। তারপর আবার প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে’। অভিজিতের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ওপেন কোর্ট হলে পাবলিকের জানার জায়গাটা থাকবে। ওনারা অফিসিয়াল চাইলে আমরা বিরোধিতা করব’।