দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেলেন আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত শুনানির আবেদন জানালেও আদালত তা নাকচ করে দিয়েছে বলে খবর। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি পার্থসারথি সেনের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানির আর্জি জানালে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় দ্রুত নয় নিয়মিত বেঞ্চেই হবে শুনানি। মামলাটি এখন জরুরি ভিত্তিতে শুনতে হবে এমন কোনও মানে নেই।মামলাকারী সন্দীপ ঘোষ জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আর্জি জানান। তবে সন্দীপের আবেদন ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি পার্থসারথী সেন। তিনি জানান, এই মামলায় এখনই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বরখাস্তের দাবি ওঠে। দিনকয়েকের মধ্যে ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন সন্দীপ। দফায় দফায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেপ্তারির পর তাঁকে শোকজ করেছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপকে বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল ১৯১৪, সাবসিকোয়েন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ২৫(এ)(২) অ্যাক্ট-এর অ্যাপ্লায়েড মেডিক্যাল কাউন্সিল ৩৭(৩) ধারায় শোকজ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল নোটিস ইস্যু করার তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। জবাব না দিলে অথবা সন্তোষজনক না হলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।নিয়মানুযায়ী, কোনও চিকিৎসক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত হলে এবং ভয়ঙ্কর অপরাধমূলক কোনও ঘটনার সঙ্গে নাম জড়ানোয় সমাজে যদি অভিযুক্তের মারাত্মক বদনাম (ইনফেমাস কন্ডাক্ট) হয়, তবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়। সেই মতো রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে অভিযুক্ত যদি ক্লিনচিট পেয়ে যান রেজিস্ট্রেশন ফিরিয়ে দেওয়াই নিয়ম। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দীপ। তড়িঘড়ি শুনানির আর্জিও জানান। তবে সেই আর্জি ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।