Breaking News

স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়ের সামনেই মেট্রোয় ঝাঁপ, আত্মহত্যার চেষ্টা মহিলার!অফিস টাইমে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। সন্তানের সামনেই মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিলেন এক মহিলা। তবে ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচেন তিনি। শেষে মেট্রোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মহিলা উদ্ধার করেন মেট্রোর কর্মীরা। তারপরে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ মেট্রো পরিষেবা থমকে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা পর পুনরায় মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়। বুধবার সকাল ১০টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।প্রত্যক্ষদর্শী ও মেট্রোর তরফে জানা গেছে, বুধবার সকালে এক মহিলা চাঁদনি চকে মেট্রো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই লাইনে ঝাঁপ দেন। এই সময় সঙ্গে তাঁর সন্তানও ছিল। মহিলা হঠাৎই ঝাঁপ দেন ও লাইনে আটকে পড়েন। কাঁদতে শুরু করে বাচ্চাটি। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে স্টেশন মাস্টারের ঘরে বসানো হয় ও খবর দেওয়া হয় মহিলার স্বামীকে।পার্ক স্ট্রিট চত্বরের কোনও এক স্কুল থেকে ছুটির পর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। পার্কস্ট্রিট থেকে উঠে নেমে পড়েন চাঁদনি চকে। তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলছিলেন ঢোকার পর। পরে দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেন এলে ঝাঁপ দেন। এর ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় আপ এবং ডাউন, উভয় লাইনেই গিরিশপার্ক থেকে ময়দান পর্যন্ত পরিষেবা। গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া কালীঘাট মেট্রোর লাইন। চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীদের প্রথমে বের করা হয়। পরে ধীরে ধীরে মেট্রোয় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। অফিস টাইমে সকাল সকাল এমন ঘটনায় দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা।পরে মহিলাকে উদ্ধার করে তাঁর স্বামীর সঙ্গে মেট্রোর কর্মীরা ফোনে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে তিনি চাঁদনি চক স্টেশনে পৌঁছন। যদিও মহিলা কী কারণে এমন পদক্ষেপ করতে গেলেন সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। তবে মহিলার আত্মহত্যার চেষ্টার ফলে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। আপ এবং ডাউন লাইনে গিরিশ পার্ক থেকে ময়দান স্টেশন পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় পরিষেবা। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অন্যদিকে, দক্ষিণেশ্বরগামী ওই ট্রেন থেকে যাত্রীদের ধীরে ধীরে বাইরে আনা হয়। সবমিলিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মতো ব্যাহত থাকে মেট্রো পরিষেবা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *