প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:- চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপে পোষা কুকুর নিয়ে ঢুকেছিলেন মা ও মেয়ে। তার জেরে তরুণীকে ভর্ৎসনা করে পুজো কমিটির এক সদস্য। অবসাদে তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ তুলল পরিবার। চন্দননগরের যুবতী সুশ্রীকা রবিবার বাড়ির কাছেই একটি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্য ছিলেন। ষষ্ঠীর দিনে নিজের দুই পোষ্য ‘মিঠাই’ ও ‘তোজো’কে নিয়ে পুজো মণ্ডপে ঢুকতে যেতেই হয় সমস্যা। অভিযোগ, পুজো কমিটির এক প্রবীণ সদস্য তাঁকে কুকুর নিয়ে মণ্ডপে ঢোকার সময়ে ভর্ৎসনা করেন। এর পরেই বাড়ি ফিরে আসেন যুবতী এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন তিনি। এর পরেই তাঁকে সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন কটূক্তির। পরিবারের দাবি, এই দুই তরফের সমালোচনা না নিয়ে নিতে পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁদের মেয়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুশ্রিকা দত্ত (২৩)। ফটকগোড়ার বাসিন্দা এবং সেখানকার বারোয়ারির পুজোর সদস্যও। ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ট্রোলড হন সুশ্রিকা। বিতর্কের জেরে সেই পোস্ট সোশ্যাল সাইট থেকে ডিলিট করে ক্ষমাও চান। পরিবারের দাবি তার পরই অবসাদে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়ে।দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চন্দননগর থানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
ফটকগোড়া পুজো কমিটির সম্পাদক বিপ্লব দাস বলেন, ‘এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত আমরা। ঘটনার আকস্মিকতায় হয়তো তাঁর বাবা অভিযোগ করছেন।’
অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর সাফ কথা, ‘পুজো কমিটি এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছেন, সে বিষয়ে পুজো কমিটি কিছুই জানে না। কেউ কিছু পোস্টে কমেন্ট করে থাকলে তার দায়িত্ব পুজো কমিটির নয়।’