প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ক্লাস করা, পরীক্ষায় বসায়। এহেন ‘শাস্তি’র বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা। আর তাতেই মিলল স্বস্তি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিলেন। জানানো হয়েছে, কোনও সাসপেনশন নয়, ওই ৫ পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবে, পরীক্ষাও দিতে পারবে। এদিন পড়ুয়াদের হয়ে মামলাটি লড়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ক্লাসে করা আর পরীক্ষায় বসা ছাড়া অন্য কোনও কাজের জন্য কলেজে যাবেন না ওই পড়ুয়ারা বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি। আগামীকাল, বুধবার থেকে ক্লাস করতে পারবেন তাঁরা। থ্রেট কালচারে নাম জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগে অরিত্র রায়–সহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়। নানা সময়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছেন তাঁরা বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাত ডাক্তারি পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের ক্লাস ও হস্টেলে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়। ওই মামলায় ৮ নভেম্বর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের ক্লাস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।এদিনের শুনানিতে সাসপেন্ডেড পড়ুয়াদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, আপাতত কলেজ কর্তৃপক্ষের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। আগামী পাঁচ সপ্তাহ পর এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ‘পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করার ক্ষমতা কলেজ কাউন্সিলের নেই। এটা করতে পারে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। আন্দোলনকারীদের থ্রেটের মুখে পড়ে ওই পড়ুয়াদেরকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এটা কি থ্রেট কালচার নয়? থ্রেট কালচার তো এক ধরনের র্যাগিং। সব মেডিক্যাল কলেজে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি থাকার কথা। অথচ এই মেডিক্যাল কলেজে কোনও কমিটি নেই। ওই কলেজ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম মেনে চলছে না।’