দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-পথ দুর্ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য যাদবপুরে। সরকারি বাসের বেপরোয়া গতির বলি স্কুটারে থাকা সওয়ারি। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল মহিলা আরোহীর। গুরুতর জখম ব্যক্তি। তাঁদের চার বছরের শিশু কন্যা অবশ্য রক্ষা পেয়েছে বরাতজোরে। মঙ্গলবার সকালে, ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটে যাদবপুরে। জানা গিয়েছে, সরকারি এস ৩১ বাসের ধাক্কা বাইকে। ৮ বি স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়েই হঠাৎ গতি বাড়ায় বাস। বাইকে সন্তোষপুর থেকে ঢাকুরিয়া আসছিলেন বাবা মা এবং ৪ বছরের শিশু কন্যা। বাবার নাম তাপস মন্ডল। মায়ের নাম দেবশ্রী নস্কর মন্ডল। মেয়ের নাম অঙ্কিতা মন্ডল। ঢাকুরিয়া বিনোদিনী গার্লস এর ছাত্রী অঙ্কিতা। সন্তোষপুর থেকে বাইকে মেয়েকে স্কুলে ছাড়তে যাচ্ছিলেন। স্ট্যান্ড থেকে বেরোয় এস ৩১। ধাক্কা মারে দ্রুতবেগে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দেবশ্রী। গুঁড়িয়ে যায় তাপসবাবুর হাত। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে অঙ্কিতা। কিন্তু রাস্তায় চায়ের দোকানে বসে থাকা এক ব্যক্তির ওপর পড়ে অঙ্কিতা। ওই ব্যক্তি পেশায় অটো চালক। সেই সময় স্ট্যান্ডে অটো রেখে রাস্তার পাশের টি স্টলে চা খাচ্ছিলেন। তিনি কার্যত ছিটকে পড়া অঙ্কিতা কে লুফে নেন তাই আঁচড় লাগেনি অঙ্কিতার গায়ে। বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাবা গুরুতর আহত অবস্থায় অরবিন্দ সেবা কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেসময় বাসস্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর-বেহালা চৌরাস্তাগামী এস৩১ বাসটি সবে ছেড়েছিল। কিন্তু শুরুতেই তার গতি এত বেশি ছিল যে তাতে প্রসেনজিতবাবুর স্কুটারটি কার্যত বাসের নিচে ঢুকে যায়! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী দেবশ্রীর। গুরুতর জখম হন স্কুটার চালক প্রসেনজিৎ। তাঁকে বাঘাযতীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এত বড় দুর্ঘটনার পর বরাতজোরে অক্ষত চার বছরের ছোট্ট অঙ্কিতা।অনেকেই বলছেন, রেষারেষির জেরে পথ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অনেক সময়েই বেসরকারি বাসের চালকদের দায়ী করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন সরকারি বাসের গতিতে লাগাম পরানো গেল না?
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal