প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। “ইডি চার্জশিট দেয় না, বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু করে না”, মন্তব্য করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তদন্ত প্রায় শেষের মুখে। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এমনই জানাল সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে। সেইসঙ্গে দ্রুত তদন্তের জাল গুটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে সিবিআই। তারইমধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়েছে যে এখনও তদন্তপ্রক্রিয়া চলছে। সেই পরিস্থিতিতে ইডিকে শীঘ্রই তদন্ত শেষ করতে বলেছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, নিম্ন আদালতে পরবর্তী শুনানির (৩০ জানুয়ারি) এক সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অর্থাৎ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ‘ডেডলাইন’।আর জি কর কাণ্ডের সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে দেদার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডির তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। যার ভিত্তিতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও তদন্ত শুরু করে। নিউটাউনে সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক ভিটে, টালায় চন্দন লৌহের বাড়ি এবং কালিন্দীর একটি ওষুধের দোকান-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু কোনও চার্জশিট দেয়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ নিয়ে মঙ্গলবার ইডির তদন্তে ‘বিরক্তি প্রকাশ’ করেন বিচারপতি ঘোষ।এদিকে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২৯ নভেম্বর আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। আগামী ৩০ জানুয়ারি আলিপুর আদালতে পরবর্তী শুনানি। সেই শুনানির এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার চেষ্টা করতে হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
