প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নিউটাউনে কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত টোটোচালক সৌমিত্র রায়ের অতীতও ভয়ঙ্কর। জানা গেছে, তাঁর প্রথম স্ত্রী নাকি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তারপরও টনক নড়েনি। দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং ফের শুরু করেন অত্যাচার। সেই নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দ্বিতীয় স্ত্রী মৌসুমী অধিকারী। স্বামীর কুকীর্তি শুনে তাঁকে ‘জানোয়ার’ বলে কটাক্ষ করেন। দাবি জানান কঠোর শাস্তির।বুধবার দুপুরে নিউটাউন কেষ্টপুর-বাগজোলা খালপাড় লাগোয়া গৌরাঙ্গনগর আদর্শপল্লির এক কামরা ভাড়াবাড়ির দাওয়ায় দাঁড়িয়ে সৌমিত্রর স্ত্রী মৌসুমী তিতি-বিরক্ত স্বরে জানিয়ে দিলেন, স্বামীর প্রতি তাঁর এক বিন্দুও সহানুভূতি নেই। উলটে ক্ষমাহীন এই অপরাধের জন্য তিনি স্বামীর কঠোরতম সাজা চাইছেন। ওঁর মতে, সৌমিত্র জানোয়ারের মতো কাজ করেছে। “ওকে কড়া সাজা দিক আদালত। নয়তো জন্তুটা এভাবে অনেক মায়ের কোল খালি করবে। ওকে ক্ষমা করা যাবে না।”, এমনটাই বললেন বধূ।তদন্তে জানা গেছে, মাত্র এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি, সৌমিত্রর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান মৌসুমী। এরপর তারা নদিয়ার ধানতলা থেকে নিউটাউনে এসে থাকতে শুরু করেন। সৌমিত্র কেষ্টপুরে ই-রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। বিয়ের পর মৌসুমী জানতে পারেন, তাঁর স্বামী আগেও একবার বিয়ে করেছেন। প্রেম চলাকালীন বা বিয়ের সময়ও সেকথা লুকিয়েই রেখেছিলেন বলে অভিযোগ | তিনি বলেন, ‘আমি পরে শুনেছি, ওর পাশবিক অত্যাচারের কারণেই প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করেছিলেন। পুলিশ তখন ওকে গ্রেপ্তার করেছিল, আদালতও দোষি সাব্যস্ত করে। জেল খাটে ৮ মাস ১৫ দিন।’ স্বামীর জন্য বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মৌসুমী। তাঁর কথায়, ‘প্রথম স্ত্রী, আর এবার নিউটাউনের সেই ছোট্ট মেয়েটা—দু’জনের জীবনই নষ্ট করল ও। আমি জানি না, জন্তুটা আমাকেও মেরে ফেলত কিনা। আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করছি, যেন কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে আর কারও এমন ক্ষতি না হয়।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal