দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-প্রয়াত ‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর স্রষ্টা সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। শনিবার সকালে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান শিল্পী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। যতদিন বাঙালি থাকবে, ততদিন থেকে যাবে প্রতুলের সৃষ্টি ‘আমি বাংলার গান গাই’।প্রবীণ শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশাল মিডিয়া পোস্টে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন তিনি। লিখলেন, ‘প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। যতদিন বাংলা গান থাকবে, ‘আমি বাংলায় গান গাই’ বাঙালির মুখে মুখে ঘুরবে।’ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা সঙ্গীত দুনিয়া। খবর, শিল্পীর প্রয়াণের খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। বিকেল ৪টে নাগাদ শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদনে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতুল মুখোপাধ্যায় দেহ যে হেতু দান করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে, তাই বিকেল ৪টের পর সেখানেই আবার ফিরিয়ে আনা হবে।প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সমাজমাধ্যমে শোক জানিয়ে তিনি লেখেন, “আধুনিক বাংলা গানের খ্যাতনামী শিল্পী, গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, দিন কয়েক আগেই হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। শিল্পীর মৃত্যুতে বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। যত দিন বাংলা গান থাকবে তত দিন ‘আমি বাংলায় গান গাই’ বাঙালির মুখে মুখে ফিরবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “আমি গর্বিত, এমন গুণী মানুষকে আমাদের সরকার তাঁর যোগ্য সম্মান জানাতে পেরেছিল। রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ থেকে শুরু করে ‘সঙ্গীত সম্মান’, ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’, ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ সবই তিনি পেয়েছেন।” তিনি শিল্পীর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
