প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভুয়ো নথি দিয়ে কলকাতার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তৈরি হয়েছিল ১৩০টি পাসপোর্ট। ভুয়ো পাসপোর্টকাণ্ডে আদালতে চার্জশিট দিয়ে এমনই দাবি করল সিবিআই। এর মধ্যে ১২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে চার্জশিটে জানিয়েছে তারা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানায় ভুয়ো নথি জমা দিয়ে আসল পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে বিশেষ দলও গঠন করা হয়। অভিযোগ ছিল উৎপল মাহাতো, উদয় মাহাতোসহ মোট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে বিভিন্ন নথি সত্যতা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, প্রায় সমস্ত নথিই জাল। এর পর কলকাতা লাগোয়া পঞ্চসায়র ডাকঘরে তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির পিছনে রয়েছে সংগঠিত চক্র। ভুয়ো নথি তৈরি করানো থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন সব কিছুর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা দর। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এক সদ্য অবসরপ্রাপ্ত DIB আধিকারিকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৮ জন এখনও জেলবন্দি। তদন্তে উঠে আসে পঞ্চসায়র ডাকঘরের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী ভুয়ো পাসপোর্টগুলি একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতেন। সেই ব্যাক্তি মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন পাসপোর্টগুলি। একএকটি পাসপোর্ট বিক্রি হত ২ – ৩ লক্ষ টাকায়।কলকাতার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তৈরি হয়েছিল ১৩০টি পাসপোর্ট। এই পাসপোর্টগুলির মধ্যে ১২০টির ‘মালিক’ বাংলাদেশি নাগরিক। সম্প্রতি এমন তথ্যই প্রকাশ্য এসেছে। জানা গেছে, এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেই একাধিক বাংলাদেশি জাল পাসপোর্ট বানিয়েছেন। তবে তাঁরা যোগাযোগ ঠিক কার সঙ্গে করেছিলেন, কত টাকা লেগেছিল, পাসপোর্ট পেলেন কীভাবে, সেইসব তথ্য এখনও হাতে আসেনি পুলিশের। যদিও পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে। পুলিশের জালে উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এসআই থেকে শুরু করে রাজ্যে পুলিশের হোমগার্ড। এই তদন্তে তৎপরতা দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডিও। তাদের সন্দেহ, ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal