দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ট্যাংরা হত্যা কাণ্ডের একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বেঁচে যাওয়া কিশোরের কী হবে? কে দায়িত্ব নেবে? এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ওই কিশোরকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সে মৃত ভেবেছিল সকলে। সেটা বুঝতে পারেনি দে ব্রাদার্স। ফলে সে বেঁচে গিয়েছে। রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে ওই কিশোরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে হয়েছে। কিন্তু কোনও রফাসূত্র বের হয়নি।নিজের স্ত্রী, মেয়ে এবং বৌদিকে খুন করেছেন প্রসূন। তারপর গাড়ি করে বেরিয়ে দাদা প্রণয় এবং তাঁর ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হননি। পুলিশের কাছে এমনই স্বীকারোক্তি তাঁর। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই প্রতিনিধি হাসপাতালে গিয়ে নাবালকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাদেরই এই বয়ান দিয়েছিল সে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন তারপর থেকেই চেষ্টা করছে ওই নাবালককে আশ্রয় খুঁজে দেওয়ার। কারণ তাঁর মা, বোন কেউই বেঁচে নেই। বাবা এবং কাকা দুজনকেই জেলে যেতে হতে পারে। আগে নাবালক জানিয়েছিল, সে তার মৃত কাকিমা সুদেষ্ণার বাবা-মায়ের কাছে থাকতে চায়। তার নিজের দাদু-দিদা অর্থাৎ প্রণয়ের স্ত্রী মৃত রোমি দে-র মা-বাবার কাছে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে, সে খারিজ করে দিয়েছিল। কিন্তু এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। এই বিষয়ে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই কিশোরের কাকিমার মা–বাবার বাড়ির দিকের লোকজনরাই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন বলে আমাদের জানান। তাঁরা কিশোরের দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।’ সুতরাং কিশোরকে সরকারি হোমে রাখা ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখা যাচ্ছে না।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal