দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আইন এবং নিয়মকে থোড়াই কেয়ার করার খেসারত নিজের জীবন দিয়ে চোকাতে হল ৩৮ বছরের এক মহিলাকে। বিধাননগর স্টেশনে নেমে দক্ষিণদাঁড়ি রেলব্রিজ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন দম্পতি। আচমকা সামনে চলে আসে ট্রেন। কী করবেন বুঝতে না পেরে ব্রিজের ফাঁক থেকে ঝাঁপ দেন বধূ। ঘটনাচক্রে ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে স্বামীর চোখের সামনেই মৃত্যু সুষমা প্রসাদের।ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।সকাল তখন ৭টা হবে। হঠাৎই বিধাননগর স্টেশন লাগোয়া রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষজন উপর থেকে নীচে ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান। তাঁরা দেখেন, এক মহিলা রেল ব্রিজের ঠিক নীচে পড়ে রয়েছেন। তাঁর রক্তাক্ত অবস্থা দেখেই সকলে বুঝতে পারেন, গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। তিনি যে উপরের রেল ব্রিজ থেকে ঝাঁপ মেরেছেন, সেটাও বোঝা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রের দাবি, মৃত ওই মহিলা স্থানীয় দক্ষিণদাঁড়ি এলাকার ঋষিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। এদিন সকালে তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামীও ছিলেন। অভিযোগ, ওই দম্পতি রেল লাইন ধরে হাঁটছিলেন। তবে, স্ত্রীর থেকে স্বামী বেশ খানিকটা পিছনে ছিলেন। মহিলা যখন ওই রেল ব্রিজের উপর উঠে পড়ে রেল লাইন ধরে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন, তখনই তিনি খেয়াল করে একসঙ্গে আপ এবং ডাউন দু’টি লাইনেই ঢুকে পড়েছে ট্রেন। মৃত্যু অবশ্যসম্ভাবী বুঝে বাঁচার একটা মরিয়া চেষ্টা করেন তিনি। দু’টি রেললাইন বা ট্র্যাকের মাঝের ফাঁকা অংশ দিয়ে সরাসরি নীচের রাস্তায় ঝাঁপ মারেন ওই মহিলা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, সেই সময়েই নাকি রেল ব্রিজের লোহার স্তম্ভে মহিলার মাথা ঠুকে যায় এবং তাঁর মাথা বীভৎসভাবে ফেটে যায়। কেউ আবার দাবি করছেন, রাস্তায় পড়ে মাথা ফাটে তাঁর। কারণ, যেটাই হোক, মহিলার আঘাত যে গুরুতর ছিল, সেটা তাঁর তৎক্ষণাৎ মৃত্যুতেই স্পষ্ট।এই ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পর লেকটাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং মহিলার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর মেডিক্যালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal