Breaking News

বিমান দুর্ঘটনার মুখে বুঝেই পাইলটের শেষ আর্তি মে’ডে!তারপরই আহমেদাবাদে মুখ থুবড়ে পড়ে যাত্রীবাহী বিমান

নিজস্ব সংবাদদাতা :- আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে টেক অফের খানিকক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। লন্ডনগামী উড়ানের দুর্ঘটনায় অন্তত ২৪২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা। জানা গিয়েছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে আপাতকালীন বার্তা ‘মেডে কল’ পাঠিয়েছিলেন পাইলট। পালটা এটিএস কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা, তা অবশ্য পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।কেন এই মে ডে কল শব্দেই বিপদবার্তা দেওয়া হয়? বিমান পরিষেবার পরিভাষায় এটিকে ‘বিপদ সংকেত’ বলা হয়। ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ থেকে মে’ডে শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাইলট কোনও বিপদের আঁচ পেলে এই শব্দটি ব্যবহার করেন। দ্রুত সাহায্য চান। সাধারণত এটিসি এবং এটিসি-র আওতায় থাকা বিমানের মধ্যে রেডিও কমিউনিকেশনকে মে ডে কল বলা হয়। যা পেলে দ্রুত সাহায্যের বার্তা পাঠানো হয়। এই শব্দবন্ধ প্রথম ১৯২০ সালে চালু হয়েছিল। যা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবহার করা হয়।‘মে’ডে, মে’ডে, মে’ডে’ সব সময় পরপর তিনবার উচ্চারণ করা হয়। তাহলেই এটিসি বুঝতে পারে বিমানটি কোনও বিপদে পড়েছে। কোলাহলপূর্ণ পরিস্থিতি বা নিম্নমানের রেডিও ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রেও এই সংকেত স্পষ্ট বোঝা যায় বলেই জানা গিয়েছে। বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিলে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পড়লে, এমনকী বিমানের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি হিসাবে এই মে’ডে কল করা হয়।এই বিপদ সংকেত পাওয়ার পর সেই ফ্রিকোয়েন্সিতে সমস্ত ‘রেডিও ট্র্যাফিক’ পরিষ্কার করা হয়। বিপদগ্রস্ত পাইলট তাঁর অবস্থান, জরুরি অবস্থার প্রকৃতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ ভাগ করে নেন। এরপর এটিসি জরুরি পরিষেবার মাধ্যমে সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ করে। আধিকারিকদের মতে, বিমানটি ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়ালের নেতৃত্বে ছিল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার ছিলেন। ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়ালের ৮,২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কো-পাইলটের ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।
সূত্রের খবর, ভেঙে পড়ার আগে এটিসির কাছে মে-ডে কল পাঠিয়েছিলেন পাইলট। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে এসেছিল সেই কল। এরপরই বিমানের সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপরই ভেঙে পড়ে এই বিমান। জানা গিয়েছে, বিমানের পাইলট ছিলেন অত্যন্ত অভিজ্ঞ।সূত্রের খবর, ৬২৫ ফুট উচ্চতার পরেই নামতে শুরু করে বিমান। তারপরই বিমানটি ভেঙে পড়ে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *