প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-ভরদুপুরে কলকাতায় খুন। কালীঘাট থানার বেণীনন্দন স্ট্রিটের সোনার দোকানের কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে।
ঝামেলা থামাতে গিয়ে অভিযুক্ত যুবক সোনার দোকানের কর্মীর ছেলেকেও কুপিয়ে দেয়। সে এখন এসএসকেএম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। অভিযুক্ত যুবক পলাতক।মৃত যুবকের নাম সৌমেন ঘড়া। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। কালীঘাটের একটি সোনার দোকানে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন। ওই সোনার দোকানে সংস্কারের কাজ চলছে। একটি মালবাহী গাড়ি রাবিশ নিতে আসে। তা তুলে বেণীনন্দন স্ট্রিট ধরে হরিশ চ্যাটার্জি রোডে ওঠার আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী সন্দীপ আগারওয়ালের দোকানে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তাতে দোকানের একাংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তা নিয়ে বচসায় জড়ায় গাড়ির চালক ও ওই ব্যবসায়ী। চিৎকার শুনে সোনার দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন সৌমেন।সেই সময় স্থানীয় যুবক খুনে অভিযুক্ত অশেষ সরকার ওরফে পিকলু ঘটনাস্থলে এসে চোটপাট করতে থাকেন। পিকলুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সৌমেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎ ছুরি বার করে সৌমেনের বুকে, পেটে, ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সৌমেন।এতেই শেষ নয়। ঘটনাস্থলে তখন হাজির হয় পিকলুর ছেলে অঙ্কুর সরকার। বাবার তাণ্ডব থামাতে গেলে তাকেও ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে পিকলুর বিরুদ্ধে। অঙ্কুরও রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়।স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দুই জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সৌমেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অঙ্কুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আপাতত এসএসকেএম-এ তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রের খবর, পিকলুর বিরুদ্ধে এর আগেও তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে কালীঘাট থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পিকলুকে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি আধিকারিকদের।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal