দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-বিধ্বস্ত আমেদাবাদ-লন্ডন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সূত্র শুক্রবার জানানো হয়েছে বিমানের লেজের কাছে থাকা কমলা রঙের ডিভাইসটি দুর্ঘটনার তদন্তে সহায়তা করবে। বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৬৫ জন নিহত হয়েছে।সেই নথি, তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানে দু’টি ব্ল্যাকবক্স থাকে। এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ক’টি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।এএআইবি-র এক দল এবং গুজরাট সরকারের ৪০ জন কর্মীর একটি দল একসঙ্গে মিলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই ‘ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ তথা ডিএফডিআর অর্থাৎ ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১-এর ‘ব্ল্যাক বক্স’-এ। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন তাই নজর সেটির দিকেই। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই ‘ব্ল্যাক বক্স’? সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল্যাক বক্সে।বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একটি বৃহস্পতিবার আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা। দুর্ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের ঘটনা সত্য হলে এবার তদন্তে গতি আসবে। জানা যাবে বিমান ভেঙে পড়ার আসল কারণ।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal