প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- হুগলির বৈদ্যবাটিতে গভীর রাতে ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক যুগলকে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় দু’জনেরই। এই রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা যাচ্ছে, দুজনেই ঘরের ভিতর থেকে আর্তনাদ করছিলেন। তাঁদের ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের নাম মণীশ ভাদুড়ি (৩৫) এবং অপর্ণা মাঝি (৩২)। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকায় এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। বৈদ্যবাটি রাজার বাগান এলাকায় মণীশদের বাড়ি রয়েছে। কিন্তু গত ছ’বছর ধরে সীতারামবাগানে ভাড়া থাকতেন দু’জনে। মণীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। অপর্ণা পরিচারিকার কাজ করতেন। দু’জনেই সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। ফিরতেন রাত করে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মণীশ মদ্যপ ছিলেন। প্রায়ই তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।যুগলের প্রতিবেশী শুভেন্দু মাঝি জানান, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ হঠাৎ মণীশদের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দু’জন। তখনও তাঁরা বেঁচে ছিলেন। ওই অবস্থায় বেশ কিছু ক্ষণ ছটফট করতে করতে মারা যান। প্রতিবেশীরা মণীশের বাড়ির লোককে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। শেষমেশ পুলিশ এসে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় শ্রীরামপুরের এক হাসপাতালে।চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস এবং আইসি সুখময় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে পৌঁছন এদিন। তাঁরা জানিয়েছেন, খুন না আত্মহত্যা, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাইরে থেকে কেউ ঢুকে হামলা করেছে কি না, সেটিও তদন্তনাধীন। এদিকে মাঠে নেমেছে ফরেন্সিক দল। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal