দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরকে দ্রুত ‘স্বাধীন দফতর’ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। নবান্ন সূত্রের খবর, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।এই নির্দেশে স্পষ্ট হল, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর আর রাজ্যের অধীনে থাকবে না। এতদিন এই দফতর সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে পরিচালিত হত। কমিশনের বক্তব্য, প্রতিটি রাজ্যের এই বিভাগ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। তাই বাংলার ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে।কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধস্তন সচিব এম আশুতোষ চিঠিতে জানিয়েছেন, সিইও-র দফতরের উপর বর্তমানে রাজ্যের অর্থ, স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য অঞ্চল বিষয়ক দফতরের যে ‘অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ’ রয়েছে, তার পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, বর্তমান ব্যবস্থায় সিইও দফতরের প্রয়োজনীয় স্বশাসনের ক্ষমতা নেই। পাশাপাশি, রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কহীন সিইও দফতর গড়া এবং পৃথক প্রশিক্ষণ পরিকাঠামোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।বর্তমান ব্যবস্থায় রাজ্যের সিইও দফতরের পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই বলে নবান্নকে চিঠিতে জানিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের সিইও-র দফতরকে স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য অঞ্চল বিষয়ক দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব পর্যায়ের দফতরের ‘অধীনস্থ দফতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। অর্থাৎ, রাজ্যের সিইও পদাধিকারবলে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (এসিএস) পর্যায়ের আধিকারিক হলেও তিনি মুখ্যসচিব বা অন্য কোনও প্রিন্সিপাল সচিব পর্যায়ের আমলার নিয়ন্ত্রণে থাকবেন না। এ ছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপ, অতিরিক্ত এবং যুগ্ম সিইও-র চারটি পদ পূরণ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে নবান্নকে।বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন চাইছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজ্যের উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না হোন। তাই সেই দফতরকে সতন্ত্র করতেই এই পদক্ষেপ। এই নির্দেশ কার্যকর হলে স্বাধীনভাবে কর্মী নিয়োগের অধিকারও থাকবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের হাতেই।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal