প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতায় রহস্যমৃত্যু, চাঞ্চল্য গল্ফগ্রিনে। নিজের বাড়ির সিঁড়ির সামনে থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের মৃতদেহ। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শনিবার সকালে দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান। নিহত ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ছিলেন। এজি সেন্ট্রালে কাজ করতেন। এই ঘটনায় একজনকে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটরা নিহতের ছেলে ও জামাই বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের।শনিবার সকালে তাঁর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তাঁরা এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান। ওই বাড়িতেই গুরুতর অবস্থায় একটি ঘরে শয্যাশায়ী ছিলেন ওই বৃদ্ধ অর্থাৎ অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর স্ত্রী।পুলিশ সূত্রের খবর, গল্ফগ্রিনের ৩০ নম্বর কলাবাগানের বাসিন্দা ছিলেন শমীক কিশোর গুপ্ত নামে ওই বৃদ্ধ। তিনি এজি বেঙ্গলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। জামাইকে শনিবার আটক করা হয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, শমীকের পরিবারের সদস্যেরা পাড়ার কারও সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। স্ত্রী দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। তিনিই সকালে পাড়ার লোকেদের পুলিশে খবর দিতে বলেছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় বাড়িতে পুত্র ও কন্যা ছিলেন। পুত্রের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাত লেগে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পিছন থেকে ধাক্কা মারার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। শমীকের বাড়িতে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটির ঘটনা ঘটত জানিয়েছেন প্রতিবেশীদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার রাতেও বাড়ির ভিতর থেকে চিৎকারের আওয়াজ শোনা গিয়েছে।ঘটনাস্থলে পৌঁছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বৃদ্ধকে ঠেলে ফেলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কী কারণে এই হত্যা তা এখনও জানা যায়নি।
এই খুনের মামলায় নিহতের জামাইকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মাত্র ২০ দিন আগেই বৃদ্ধের মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই জামাই নেশা করে শ্বশুর বাড়িতে আসতেন এবং অশান্তি করতেন। এরপরই এদিন উদ্ধার হল বৃদ্ধের মৃতদেহ। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নিহতের ছেলেকেও।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal