Breaking News

রাতের অন্ধকারে যাদবপুরের ঝিলে পড়ে গেল ছাত্রী, মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য!ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কী কী তথ্য পেল পুলিশ

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র আলোড়ন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের পাশের পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ার বাড়ি নিমতায়। জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেরকমই ইঙ্গিত করা হল৷ শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর পাকস্থলীতে মদের গন্ধও পাওয়া গিয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ছাত্রীর শরীরে বড় কোনও আঘাতের চিহ্নও মেলেনি বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷গতকাল রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের জলাশয় থেকে ওই ছাত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে চার নম্বর গেটের কাছে গৌর দাস বাউল ও তাঁর দলকে নিয়ে ‘ড্রামা ক্লাব’ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উপস্থিত ছিলেন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। অনুষ্ঠান চলাকালীন রাত ১০ টা ২০ মিনিট নাগাদ কলা বিভাগের ছাত্র ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন পুকুরে ওই ছাত্রীর দেহ ভাসতে দেখা যায়৷ উদ্ধারের পর জানা যায় ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরেজি স্নাতক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া।
ওই ছাত্রী মৃত্যুর আগে মদ্যপান করেছিলেন কি না, তা জানার জন্য তাঁর ছাত্রীর শরীরের ভিসেরার নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে৷শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সামনে সহ-উপাচার্য বলেন, “রাতেই আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত কেপিসি হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। ওঁর পরিবার এসে গিয়েছিল, আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সমব্যথী।”নিরাপত্তা প্রসঙ্গে অমিতাভ দত্ত স্বীকার করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা অনেক কম। তাঁর কথায়, “এত বড় ক্যাম্পাসে গত কয়েক বছরে অনেক নিরাপত্তারক্ষী অবসর নিয়েছেন। ফলে আমাদের সীমিত জনবল দিয়েই নজরদারি চালাতে হয়। পেট্রলিং টিম হয়তো সেই সময় ওই এলাকায় ছিল না। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।” ঘটনাস্থলের চারপাশে তিনটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও, যে পুকুর থেকে পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে কোনও ক্যামেরা মুখ করে নেই। ফলে তিনি কীভাবে পুকুরে পড়লেন, তা এখনও অজানা। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *