প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা:- ভরদুপুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড বরাহনগরে। নিজের দোকানেই নৃশংসভাবে খুন হতে হল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। দোকানে ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে মালিককে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বরাহনগর থানার পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দোকান ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের পাকড়াও করতে মরিয়া তদন্তকারীরা। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে থমথমে এলাকা।পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীর নাম শঙ্কর জানা। বরাহনগরের শম্ভুনাথ দাস লেনে তাঁর গয়নার দোকান। শনিবার দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ জনকে ওই দোকানের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন দোকানের ভিতরে ঢোকেন। দু’জন ছিলেন বাইরে। গয়না কেনার ভান করেন তিন জন। তার পর হঠাৎই দোকানমালিকের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। এবং লুটের পর সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে খুন করা হয় শঙ্করকে। তার পর তাঁর হাত-পা বেঁধে দেয় দুষ্কৃতীরা। শঙ্করের পুত্র থাকেন বাইরে। মোবাইলে দোকানের মনিটরিং ক্যামেরা ‘ব্লক’ দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। কী হয়েছে জানতে দিল্লি থেকে কয়েক জন পরিচিতকে ফোন করেন ওই যুবক। তার পরেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খুনের বিষয়টি সামনে এসেছে। পুলিশ গিয়ে প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, যে সময় তিনি খুন হন, সে সময় দোকানে একাই ছিলেন শঙ্কর। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।এত বড় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বরানগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ণ বসু। তিনি জানান, ”দুপুর তিনটে নাগাদ এই দোকানে কয়েকজন আসে। কাচের দরজা ঠেলে ঢোকে। দরজার ওপারে আর কিছু দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পর আবার তারা বেরিয়ে যায়। এসময় উলটোদিকের বাড়ির সামনে যে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল, তাতে ওখানকার লোকজন দেখতে পান যে কয়েকজন দোকান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে আর দোকানের সামনে কিছু লোক আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পাশের দোকানের মালিককে জানান। উনি গিয়ে দেখেন, দোকান ঘরের ভিতর শংকর জানা পড়ে রয়েছেন। আমার মনে হয়, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উচিত নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে দোকানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal