প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে অবৈধ বাজি তৈরি ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণের জন্য কি পদক্ষেপ করেছে রাজ্য প্রশাসন বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। পরিবেশকর্মীদের সংগঠন সবুজ মঞ্চের করা মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ,কালী পুজো ও দীপাবলির আগে ও পরের বাতাসে দূষণের মাত্রা সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে।নিয়ম মেনে বাজি পোড়ানো হচ্ছে কি না, তাও মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চান বিচারপতিরা। যদিও এ বিষয়ে রাজ্যের পদক্ষেপেই আস্থাপ্রকাশ করল হাই কোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে গাইডলাইন কার্যকর সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।শব্দবাজি বন্ধ করতে গত ২২ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাতে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, বলা হয়েছিল, শব্দবাজি নিয়ে রাজ্য যে যে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান, রাজ্যের জারি করা সেই গাইডলাইন কি আদৌ মেনে চলা হচ্ছে? কিন্তু এ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি রাজ্য। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আধঘণ্টার মধ্যেই যেন তা জানানো হয়। অন্যথায় তাঁকে আদালতে তলব করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন বিচারপতিরা।অবৈধ বাজি তৈরি ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সহযোগিতা করেছে কি না তাও উল্লেখ করতে হবে সেই রিপোর্টে। পুজোর ছুটি শেষে তিন সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তা দেখে মনে হচ্ছে রাজ্যের কোনও সদিচ্ছা নেই এই সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের পূর্বের তৈরি নির্দেশিকা কার্যকর করার। বৈধ সবুজ বাজি তৈরি ব্যাতীত অননুমোদিত বাজি তৈরি ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার। কি পদক্ষেপ করা হবে সেই বিষয়ে নিজেরাই অন্ধকারে প্রশাসন। সব সক্রিয়তা শুধু কাগজে কলমে। বাস্তবে কিছুই হয়নি, এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কোন বাজি অনুমোদিত এবং কোন বাজি অবৈধ সে বিষয়েও স্পষ্ট অবস্থান নেই রাজ্যের।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal