প্রসেনজিৎ ধর :-দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এসআইআর বা ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধী ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এসআইআর ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে একসঙ্গে এসআইআর শুরু হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাত, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান নিকোবরে শুরু হচ্ছে এসআইআর | এদিন নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার যা যা বললেন, দেখে নিন এক নজরে।
১) এসআইআর-এর উদ্দেশ্য, কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ না যাওয়া এবং কোনও অযোগ্য ভোটারের নাম তালিকায় না থাকা।
২) সারা দেশেই ধাপে ধাপে হবে এসআইআর-এর কাজ।
৩) এসআইআর-এর কাজ করার সময় বিএলও-রা বাড়িতে গেলে সেই সময় যদি কেউ বাড়িতে না থাকেন তাহলে তাঁরা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
৪) প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে বিএলও-রা তিনবার যাবেন। কারও কোনও সমস্যা হলে সবরকম সাহায্য করবেন তাঁরা।
৫) প্রত্যেক বিএলও-দের ট্রেনিং কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে।
৫) বিএলও-রা প্রতিদিন সর্বাধিক ৫০টি ফর্ম পূরণের কাজ করবেন।
৬) বুথ পিছু সর্বাধিক ১২০০ ভোটার থাকবে।
৭) বিহারের এসআইআর-এর থেকে শিক্ষা নিয়ে এনুমারেশন ফর্মে ছোট্ট বদল আনা হয়েছে। এখন থেকে এনুমারেশন ফর্মে শেষ এসআইআর সংক্রান্ত একটা কলাম রাখা থাকছে।
৮) বিহারের পর দ্বিতীয় দফা হিসাবে দেশের মোট ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর কাজ শুরু ২৮ অক্টোবর থেকে। যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে সেগুলি হল, আন্দামান ও নিকোবর, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি, ছত্তীসগড়, গুজরাত, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গোয়া, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।
৯) ১২টি রাজ্যে মোট ভোটার ৫১ কোটি, মোট বিএলও ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার, বিএলএ ৭ লক্ষ ৬৪ হাজার, মোট ইআরও সাড়ে ১০ হাজার এবং মোট ডিইও ৩২১ জন।
১০) ২০০২, ২০০৩ বা ২০০৪ এর (শেষ এসআইআর যখন হয়েছিল) তালিকার সঙ্গে সর্বশেষ (২০২৫) তালিকা ম্যাপিং ও ম্যাচিং-এ যাঁদের নাম মিলে গেছে, তাঁদের আর কোনও নথি দিতে হবে না।সোমবার সারা দেশের জন্য এসআইআর ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। বিহারের ক্ষেত্রে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করা হয়েছে। যোগ্য ভোটারদের নির্বাচনের এক্তিয়ারে নিয়ে আসা এবং অযোগ্যদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এসআইআর-এর মূল লক্ষ্য বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। দীর্ঘ ২ দশক পরে ভারতে এসআইআর হচ্ছে। শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal