Breaking News

বিনিয়োগের ভুয়ো অ্যাপ খুলে প্রতারণা রাজ্যের চিকিৎসককে! ৩৬ লক্ষ টাকা প্রতারণায় অসম যোগ,সিআইডির হাতে গ্রেফতার জালিয়াত

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত লাভ! চিকিৎসকের সঙ্গে ৩৬ লক্ষ টাকার প্রতারণা| সাইবার জালিয়াতির তদন্তে নেমে বুধবার রাতে অসমের কামরূপ থেকে এক জালিয়াতকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এই নিয়ে এই প্রতারণা মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করলেন রাজ্য গোয়েন্দারা। শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের এক সংস্থার নাম ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাপ চালু করেছিলেন প্রতারকেরা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা প্রতারকেরা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। এই মামলায় আগেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমে হানা দিয়ে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিআইডি।তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওই ভুয়ো অ্যাপের মাধ্যমে লগ্নির টোপ দিতেন প্রতারকেরা। সেই ফাঁদেই পা দিয়েছিলেন বারাসতের বাসিন্দা জনৈক রাজকুমার ভট্টাচার্য। পেশায় চিকিৎসক রাজকুমার ওই ফাঁদে পা দেওয়ার পরে তাঁকে একটি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করেন প্রতারকেরা। চিকিৎসককে বলা হয়, ওই গ্রুপে অনলাইনে বিনিয়োগের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সুযোগে ভুল বুঝিয়ে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে দফায় দফায় রাজকুমারকে দিয়ে বিনিয়োগ করানো হয়। অভিযোগ, দশ দফায় তাঁর থেকে মোট ৩৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারকেরা।এরপর বারাসত থানায় সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ জানান প্রতারিত চিকিৎসক। তদন্তে নামে পুলিশ। পরবর্তীকালে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা একে একে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে। চলতি বছরের মার্চ মাসের ৭ তারিখ দেবাশিস রায় নামে একজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ মেলে প্রসেনজিৎরঞ্জন নাথের। জুন মাসের ২৫ তারিখ আলিপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা। এরপরই এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্মচারী অমিত ঘোষ ও রিয়াজ আহমেদকে গার্ডেনরিচ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ মেলে জাহিরুল ইসলামের। গতকাল বুধবার অসম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *