দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- বড়দিনের উৎসবের আবহে যখন সর্বত্র আনন্দের রেশ, ঠিক সেই সময়েই বীরভূমের দুবরাজপুরে মর্মান্তিক ঘটনায় নেমে এল শোকের ছায়া। দুবরাজপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলুপাড়ায় মোড়ল পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে মালা হাজরা ও তাঁর মেয়ে বৃষ্টি হাজরার দেহ। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দু’দিন ধরে তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল। এলাকার অন্যত্রও খোঁজ চালায় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোথাও দেখা মেলেনি। তাতেই পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ে। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে মোড়ল পুকুরে মালা হাজরার দেহ ভাসতে দেখেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই জমে যায় ভিড়। তখনই শুরু হয় মেয়ের খোঁজ। কিন্তু কোথাও মেয়ের খোঁজ না মেলায় স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরে নেমে তল্লাশি শুরু করে দেন। ফেলা হয় জাল। তারপরই সেখান খেরে তাঁর মেয়ে বৃষ্টিরও দেহ উদ্ধার হয়। গত মঙ্গলবার থেকে মা ও মেয়ে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের তরফে গতকাল দুবরাজপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা মোড়ল পুকুরের জলে ভাসতে থাকা একটি দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মালা হাজরার দেহ উদ্ধার করে। এরপর থেকেই শুরু হয় নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান।পুকুরে নেমে প্রথমে তল্লাশি চালানো হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পুকুরে জাল নামানো হয়। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর উদ্ধার হয় দু’বছরের শিশু বৃষ্টি হাজরার দেহ। মুহূর্তে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতার কাকিশাশুড়ি চায়না হাজরা জানান, “আমার দেওরের ছেলের বউ মালা। পরশুদিন থেকে ও আর বাড়ি ফেরেনি। সঙ্গে ছিল ওর দু’বছরের মেয়ে। কোনও ঝগড়াঝাঁটি বা শত্রুতা ছিল না। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।”এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভাস্কর ঘোষ বলছেন, “দু’দিন থেকেই ওদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল। থানাতেও নিখোঁজ ডায়েরি হয়। আজ সকালে পুকুরে মালা হাজরাকে ভাসতে দেখা যায়। ওকে উদ্ধার করার ঘণ্টা দেড়েক পরে বাচ্চাটির খোঁজ মেলে। পুলিশ ময়নাতদন্ত করছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। কোনওভাবে তাঁরা পুকুরে পড়ে গিয়েছিলেন নাকি অন্য কোনও ঘটনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal