নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল বেনিয়াপুকুরে | শনিবার সাতসকালে এই দৃ্শ্য দেখে কার্যত শিউড়ে উঠলেন বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার গোরাচাঁদ রোডের বাসিন্দারা | কে বা কারা ওইভাবে যুবকের দেহ জলের ট্যাঙ্কে ফেলে রেখে গেল, তাও স্পষ্ট নয় | স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ | শনিবার সাতসকালে বেনিয়াপুকুরের গোরাচাঁদ রোডের বাসিন্দারা একটি জলের ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ পেতে থাকেন | সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধ আরও বাড়তে থাকে | তড়িঘড়ি বেনিয়াপুকুর থানায় খবর দেন তাঁরা | পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়| জলের ট্যাঙ্কে তল্লাশি অভিযান চালাতেই আঁতকে ওঠেন | দেখেন বছর ৩৫-এর এক যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে | দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান হয়েছে | পুলিশ জানিয়েছে, সেপটিক ট্যাঙ্কটির পাশে একটি ছোট ও অগভীর গর্তের ভিতর হাত-পা ভাঁজ করা অবস্থায় দেহটি পড়েছিল | পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশ থেকে দেহটি উদ্ধার হয় ওই বাড়ির মালিক রাজীব রায়ের ওষুধের দোকান রয়েছে| সেই দোকানেই কাজ করতেন ওই যুবক | নিমাইয়ের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে |তদন্তে নেমে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দোকানের মালিক-সহ একাধিক কর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়েছে | গত ৮ তারিখের পর থেকে নিমাই নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে | কীভাবে নিখোঁজ নিমাইয়ের দেহ মালিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশ থেকে উদ্ধার হল তা নিঃসন্দেহে ভাবাচ্ছে পুলিশকে | দোকানের মালিকের সঙ্গে কোনওরকম বচসা নিমাইয়ের হয়েছিল কি না কিংবা অন্য কোনও বচসায় তিনি জড়িয়েছিলেন কি না সেটাই জানতে চাইছে পুলিশ | এদিকে দোকান মালিক জানিয়েছেন, দোকানের এক কর্মীর সঙ্গে সম্প্রতি হাতাহাতিতে জড়ান নিমাই | তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে ওই হাতাহাতির ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে |
লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান| যান লালবাজারের সায়েন্টিফিক উইংও | খতিয়ে দেখা হচ্ছে নিমাইয়ের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইল | পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ওই যুবক আগরতলার বাসিন্দা | তাঁর মুখে রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন | তিন-চারদিন আগেই দেহটি নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে | ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের | কে বা কারা দেহটি নিয়ে এসে নর্দমায় ফেলে গেল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা | দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা |